ঋতু পরিবর্তনের ধকল সবাই সইতে পারে না। বিশেষ করে শীতের সময় তো অনেকের মাঝে জড়তা ভর করে। খুব সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি লেগেই থাকে। কিছু খাবারেই আপনি শীতের মৌসুমে প্রাণচঞ্চল ও সুস্থ-সবল থাকতে পারেন। এ নিয়েই আজকের টিপস
চিকেন স্যুপ
এক বাটি গরম গরম স্যুপ নিমেষেই আপনাকে চনমনে করে দিতে পারে। এমনিতেই দারুণ পুষ্টিকর এক খাবার। এতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন আর খনিজ। এটা খিদে মেটায়, দেহে উত্তাপ দেয়। পাশাপাশি গলাব্যথা ও খুশখুশে কাশির জন্যও উপকারী। ফুসফুসে জমা ঘন শ্লেষ্মা তরল করে সুস্থতা দেয়। মুরগির স্যুপ খেতেও সুস্বাদু। বিভিন্ন মসলা দিয়ে এর স্বাদ পছন্দসই করে নিতে পারেন।
মধু, দারচিনি আর আদা
আদা ভালোমতো ছেঁচে কিংবা বেটে নিয়ে মধুর সঙ্গে মিলিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। গরম পানিতে মিলিয়ে দিন। এবার এতে দারচিনি গুঁড়া দিন। না থাকলে সামান্য পরিমাণ ভেঙেও দিতে পারেন। চাইলে লেবুর রস দিতেও মানা নেই। লেবুতে মিলবে ভিটামিন ‘সি’, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই মিশ্রণে যা দিলেন তার সব কটিতেই আছে দেহের জন্য উপকারী উপাদান। শীতের দিনে দেহ-মনে সুস্থতা দেয়। ম্যাজম্যাজে ভাব কেটে যায়। খুব সহজেই সর্দি-কাশি থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
মসলাদার চা
শীতের দিনে চাঙ্গা দেহ-মনের জন্যে মসলার চা খুবই কাজের। আদা ও তুলসীর চা বেশ জনপ্রিয়। এটি রীতিমতো ওষুধের মতো কাজ করে। দেহে উত্তাপ দেয়। চাইলে সামান্য গোলমরিচ দিতে পারেন। জড়তা ভাব উধাও হয়ে যাবে।
হলুদ ও দুধ
আরেকটি শক্তিশালী মিশ্রণ, যার স্বাস্থ্যগুণের তুলনা নেই। এমনিতেই হলুদে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। হালকা উষ্ণ দুধে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। কিংবা কাঁচা হলুদ রস করেও মিশিয়ে নিতে পারেন। শীতে হরিদ্রা দুধ দেহে খুব দ্রুত শক্তি এনে দেয়। সুস্থতার জন্য ভরসা রাখতে পারেন।