নিজস্ব প্রতিবেদক:
মেহেরপুর সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ফিরাতুল ইসলাম (৪৪) নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।পুলিশের দাবি, ফিরাতুল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। সে সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের আয়ূব আলীর ছেলে।
মেহেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আহসান হাবীব জানান, নুরপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম খোকন নামে এক ব্যক্তির কাঁঠালবাগানে সন্দেহভাজন একদল সন্ত্রাসী অবস্থান করছিল। সেখানে পুলিশের একটি দল পৌঁছলে তারা পুলিশের ওপর গুলি বর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি করলে কিছু সময় বন্দুকযুদ্ধ চলতে থাকে। বন্দুকযুদ্ধ শেষে কয়েক মিনিট পরে স্থানীয় লোকদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে গেলে গুলিবিদ্ধ একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় একজন লাশটি পিরোজপুর গ্রামের সন্ত্রাসী ফিরাতুল ইসলামের বলে শনাক্ত করেন।ফিরাতুল ইসলাম এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ডাকাত ছিল বলে দাবি করেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী। তিনি বলেন, তার নামে সদর ও মুজিবনগর থানায় হত্যা, ডাকাতি, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনসহ বিভিন্ন অপরাধের ১০টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ সে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানা পুলিশের হাতে গান পাউডারসহ আটক হয়েছিল।
দৈনিক দেশজনতা এন/এইচ