নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নয়, সিইসি কেএম নুরুল হুদার পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মাহবুব তালুকদারের কথায় সরকারের জ্বালা ধরেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
এ সময় গ্রেনেড হামলার রায় প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিশ্চিহ্ন করার রায় ২১ আগস্টের রায়। এই নিশ্চিহ্ন প্রক্রিয়ার অন্যতম টার্গেট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কোনো রকম সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়াই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আক্রোশমূলক এই রায়ে জাতীয়তাবাদী শক্তির অন্যতম অগ্রনায়ক তারেক রহমানকে প্রহসনের বিচারে সাজা দেওয়া হয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা এই রায়ের মাধ্যমে মূল দু’টি লক্ষ্য পূরণ করতে চাচ্ছেন। একটি হলো- শেখ হাসিনার শাসনামলে চারিদিকে যে নৈরাশ্যের ছবি মানুষ অবলোকন করছে সেখান থেকে দৃষ্টি ফেরানো। আরেকটি তারেক রহমানের ওপর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করে জিয়া পরিবারকে হেয় করা।’
তিনি বলেন, ‘মঈন-ফখরুদ্দিন গংদের সহায়তায় ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের নিজ বাসভবন থেকে বের করে দেওয়া, বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্থাপনা থেকে শহীদ জিয়া ও বেগম জিয়ার নাম মুছে ফেলা, হত্যার উদ্দেশ্যে কারওয়ান বাজারে বেগম জিয়ার গাড়িবহরে যুবলীগ-ছাত্রলীগের আক্রমণ, বালির ট্রাক দিয়ে চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয় ও তার বাসভবন অবরুদ্ধ করে রাখা।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একের পর এক সাজানো মামলায় বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা দিয়ে কারাগারে আটকিয়ে রাখা, সবই করা হয়েছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় জিয়া পরিবারকে হেয় করার জন্য।’
এই প্রতিহিংসামূলক ফরমায়েশি রায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মহাজোট সরকারের নিষ্ঠুর অবিচারের আর একটি দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘আমরা এই ভয়াবহ গ্রেনেড বোমা হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই। তাই অবিলম্বে এই রায় বাতিল করতে হবে। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ তদন্ত করে ন্যায় বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।’