খাবারের অভাব, খাবারের দামের ঊর্ধ্বগতি ও দেশের প্রধান বন্দর এলাকায় যুদ্ধ তীব্র হওয়ায় ইয়েমেনে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে সম্প্রতি সতর্ক করে দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমের প্রধান মার্ক লোকোক। এই দুর্ভিক্ষে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন তিনি। এদিকে, বিশ্বে চতুর্মুখী দুর্যোগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ! দুর্ভিক্ষ, জলবায়ু পরিবর্তন আর মানবসৃষ্ট বিভিন্ন সংঘাতের কারণে চতুর্মুখী দুর্যোগ তৈরি হচ্ছে বিশ্বে। এমন হুঁশিয়ারিবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা বিষয়ক সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে ডব্লিউএফপি এর সদর দফতর রোমে গত মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সংস্থাটির প্রধান ডেভিড বিয়াসলি এ হুঁশিয়ারি দেন।
ডেভিড বিয়াসলি বলেন, প্রচণ্ড আতঙ্কে রয়েছি, আমরা ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন।
জাতিসংঘের লক্ষ্য ছিল ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়া হবে। কিন্তু তিনটি বাধার কারণে এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। যার মধ্যে রয়েছে- সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, নিম্নমুখী অর্থনীতি।
বিয়াসলি বলেন, ক্ষুধা ও অপুষ্টির কারণে প্রতি পাঁচ থেকে দশ সেকেন্ডে একজন শিশু মারা যায়। এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ জরুরি। উৎপাদন প্রক্রিয়া ও রান্নাঘরে খাদ্য অপচয় হচ্ছে।
এদিকে, জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি লোকোক সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, ‘দুর্ভিক্ষের বিষয়ে যা হচ্ছে তার মধ্যে একটা বিষয় হলো হঠাৎ করে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে যার কোনো আভাসই আপনি পাবেন না।’ তিনি বলেন, ‘যখন বিপর্যয় দেখা দেবে, তখন আর কিছু করার থাকবে না। সেখানে খুব দ্রুত অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। তাই আমরা বিষয়টি সবার আমলে আনার চেষ্টা করছি।’
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

