ভারতজুড়ে যৌন নিপীড়ন বিরোধী ‘#মি টু’ আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য হলেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। একাধিক সাবেক নারী সহকর্মীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার তিনি পদত্যাগ করেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি আদালতে ন্যায় বিচার জন্য ব্যক্তিগত সমর্থে লড়াই করবো। আমার বিরুদ্ধে তোলা মিথ্যা অভিযোগগুলোকে চ্যালেঞ্জ করবো। এজন্য আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র দিয়েছি। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের প্রতি কৃতজ্ঞ দেশসেবার সুযোগ দেয়ার জন্য।’
টাইমস অব ইন্ডিয়া দিয়ে সাংবাদিকতা ক্যারিয়ার শুরু করা এম জে আকবর পরে কলকাতা থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক ‘দ্যা টেলিগ্রাফ’র সম্পাদক হন। তার বিরুদ্ধে প্রিয়া রামানি নামের এক নারী সাংবাদিক যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেন। প্রায় এক বছর আগে ভোগ ম্যাগাজিনের ভারত সংস্করণে প্রকাশিত প্রবন্ধে তিনি এই যৌন নির্যাতনের কথা বলেছিলেন।
টুইট বার্তায় প্রিয়া রামানি বলেন, ‘সেই ঘটনার জন্য দায়ী এম জে আকবর।’
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকজন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন, যাদের বেশিরভাগই সাংবাদিক।
তাদের অভিযোগ, মন্ত্রী আকবর সম্পাদক থাকাকালীন তারা যৌন হেনস্তার শিকার হন।
গত ৮ অক্টোবর ভারতের দুই নারী সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। এরপর তার দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়কমন্ত্রী মণিকা গান্ধী এ ঘটনায় তদন্ত দাবি করেন।
তবে আকবর তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন। সাংবাদিক প্রিয়া রামনির বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও দায়ের করেন। গত রোববার এক বিবৃতিতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে পদত্যাগ করবেন না বলে জানান। কিন্তু নানাবিধ চাপে শেষ পর্যন্ত পদ ছাড়তে বাধ্য হলেন তিনি।