প্রাচ্য থেকে প্রতীচ্য। বিশ্বের আনাচে-কানাচে পৌঁছে গেছে ‘মি টু’। যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারী আন্দোলন। আন্দোলনের ঝড়ে নাজেহাল সিনেমা জগৎ থেকে শুরু করে রাজনীতির অঙ্গন পর্যন্ত হোমরা-চোমরা ব্যক্তিরা।
তবে যৌন নির্যাতনের শিকার কেবল নারীরাই নয়। শিকার পুরুষরাও। আর তাই এবার ‘মি টু’কে টেক্কা দিতে মাঠে হাজির হয়েছে ‘হিম টু’। হিম টু হ্যাশট্যাগে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলছেন পুরুষরাও।
কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ব্রেট কাভানা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত কাভানার নিয়োগ নিয়ে পানি কম ঘোলা হয়নি। তার বিরুদ্ধে উঠেছিল যৌন হয়রানির অভিযোগ।
কিন্তু শেষতক জিতে যান ট্রাম্পই। সুপ্রিমকোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান কাভানা। ঠিক এ ঘটনার সূত্র ধরেই মার্কিন মুল্লুকে ‘হিম টু’ আন্দোলনের সূত্রপাত। এতদিন নারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনা প্রকাশ করেছেন মি টু হ্যাশট্যাগে।
এবার যৌন হয়রানির মিথ্যা অভিযোগে ফেঁসে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে হিম টু হ্যাশট্যাগে সরব হয়েছেন পুরুষরা।
এএফপি জানায়, যেদিন কাভানি সুপ্রিমকোর্টের বিচারক হিসেবে শপথ নেন, সেদিনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন জনৈক পিটার হ্যানসনের মা। ৩২ বছর বয়সী ছেলের পক্ষ নিয়ে তিনি লেখেন, মি টুর জোয়ারে এখন অভিসারে যেতে ভয় পাচ্ছেন পিটার!
তিনি মনে করছেন, এতে করে যৌন হয়রানির মিথ্যা অভিযোগের শিকার হওয়ার আশঙ্কা আছে। পিটার হ্যানসনের মা ওই অনলাইন পোস্টে ছেলের পক্ষ নিয়ে লিখেছেন, ‘হিম টু’। পোস্টে নিজের সুদর্শন ছেলের একটি ছবিও দিয়েছেন তিনি। মি টুর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবেই চালু হয়েছে হিম টু।