২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:০৯

শেষের গোলেও শেষ রক্ষা হলো না স্পেনের

ম্যাচের দুই অর্ধ ভাগ করে নিল দুই দল। প্রথমার্ধ ইংল্যান্ডের। আর দ্বিতীয়ার্ধ নিল স্পেন। এরমধ্যে প্রথমার্ধে ইংল্যান্ড একটু বেশিই ভালো খেললো। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েও ম্যাচ বাঁচাতে পারলো না স্পেন। ঘরের মাঠে ইংলিশদের কাছে হেরে গেল ৩-২ গোলের ব্যবধানে। স্পেন দলের নতুন দায়িত্ব নেওয়া লুইস এনরিকেকে ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বেশ বুঝিয়ে দিলেন পায়ে বল ধরে রাখাই ফুটবল না। আসল কাজ গোল করা।

প্রথমার্ধের ১৬ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ড ফরোয়ার্ড মার্কোস র‌্যাশফোর্ডের পাস ধরে দলের হয়ে প্রথম গোল করেন রাহিম স্টারলিং। এরপর ঘুরে দাঁড়নোর চেষ্টা করা স্পেন কিছু বুঝে ওঠার আগেই দলের ব্যবধান দ্বিগুন করেন প্রথম গোলের সহয়তা দেওয়া র‌্যাশফোর্ড। ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেনের বাড়ানো বল ধরে গোল করেন তিনি।

এরপরের গোলও পায় ইংল্যান্ড। সাউথগেটের শিষ্য টটেনহ্যাম স্ট্রাইকার হয়তো পণ করে বসেছিলেন গোল করবেন না তিনি। এ ম্যাচে শুধু গোল করাবেন। করালেনও তাই। দ্বিতীয়ার্ধের ৩৮ মিনিটের মাথায় রাহিম স্টাংলিককে দিয়ে আবার গোল করালেন হ্যারি কেন। তিনি দিলেন দ্বিতীয় গোলের সহায়তা। আর স্টারলিং পেলেন তার দ্বিতীয় গোল। প্রথমার্ধেই ইংল্যান্ড এগিয়ে গেল ৩-০ ব্যবধানে।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলার রং আরও চড়বে বোঝাই যাচ্ছিল। গোল করতে মরিয়া এনরিকের দল হয় কোণঠাসা করে ফেলবে ইংল্যান্ডকে। নয়তো আক্রমণ করে খেলা স্পেনের জালে আরও গোল দেবে ইংলিশরা। তবে ঘরের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধে গুছিয়ে উঠে লা রোজারা। দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের গোলবার রাখল অক্ষত। সঙ্গে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে পাকো আলকাসের গোল করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন। কিন্তু তারপর কিছুতেই আর কিছু হচ্ছিল না।

স্পেন শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে ম্যাচটি হারছে এমনটাই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ঘরের মাঠে ৩-১ গোলের পরাজয় যেন স্পেনের পাওয়া ছিল না। রামোসরা আরও একটু বেশি সম্মান প্রত্যাশা করে। সেই মান বাঁচালেন রামোস। ম্যাচের শেষ বাঁশি বেজেছে ৯৮ মিনিটে। আর রামোস তার ঠিক আগে ‘গোল্ডেন হেড’ থেকে গোল পেয়েছেন। তার ৯৭ মিনিটের গোলে ব্যবধান কমায় স্পেন। কিন্তু ততক্ষণে বেশ দেরি করে ফেলেছে তারা। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের।

প্রকাশ :অক্টোবর ১৬, ২০১৮ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ