রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন বিষয়ে এ মাসে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে এ লক্ষ্যে গঠিত দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ। আগামী ২৮ তারিখ ঢাকায় বৈঠকটি হওয়ার কথা। এতে মিয়ানমারের অনাপত্তি জানানো আট হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফর সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ থেকে পাঠানো তালিকার মধ্যে আট হাজার রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই-বাছাই করে অনাপত্তি পাঠিয়েছে মিয়ানমার। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ১১ হাজার রোহিঙ্গার তালিকার মধ্যে আট হাজার ৩২ জনের বিষয়ে কয়েক মাস আগে অনাপত্তি জানায় মিয়ানমার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ চলমান রয়েছে। এ মাসের শেষের দিকে মিয়ানমারের সঙ্গে এ ইস্যুতে ঢাকায় বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে অংশ নিতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি
দল ঢাকায় আসছে। প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারের একাধিক রোহিঙ্গা শিবিরও সফর করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এ আট হাজার রোহিঙ্গার গ্রামভিত্তিক ম্যাচিং শেষ করেছে বাংলাদেশ। তবে রোহিঙ্গারা যে যাবে, তারা গিয়ে কোথায় থাকবে? তাদের থাকার জন্য এখনো পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা প্রস্তুত করতে পারেনি মিয়ানমার। দেশটির মংডুতে আরও বাড়ি নির্মাণ করা প্রয়োজন। একটি সূত্র জানায়, ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়ে উত্থাপন করা হবে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যার শিকার হয়ে গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগেও কয়েক দফায় আসা আরও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে অবস্থান করছে। তাদের ফেরাতে গত বছরের নভেম্বরে নেপিদোর সঙ্গে একটি চুক্তি করে ঢাকা। সে অনুযায়ী দুই বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার কথা থাকলেও এখন প্রত্যাবাসনই শুরু করা যায়নি। বাংলাদেশ বারবার অভিযোগ করছে, নানা অজুহাত তুলে এ প্রত্যাবাসন বিলম্বিত করছে মিয়ানমার।