প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে মুখে তড়িঘড়ি ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকে তারা সরে এসেছে।
সোমবার বেলা ১০টা ৪৯ মিনিটে বিশ্বিবদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার ঘ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হবে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে দুপুর একটা ৪ মিনিটে আরেকটি মেইলে ভুল তথ্যের কারণে বিজ্ঞপ্তি হয়েছিল বলে সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ঢাবি ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৮১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরীক্ষার পূর্বে বেলা ৯টা ১৭ মিনিটে অনেক ভর্তিচ্ছুর হোয়াটস অ্যাপ, মেসেঞ্জারে সাদা কাগজে উত্তরলেখা সম্বলিত প্রশ্ন আসে। অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে সাদা খাতার ৭২টি প্রশ্ন ও উত্তরের হুবহু মিল পাওয়া যায়। এই ঘটনায় শুক্রবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহ-উপচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এখনো দেয়া হয়নি।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আগেই ফল প্রকাশের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটি অন্যতম সদস্য সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, এখনই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। উপচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন।
এ বিষয়ে ঘ ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, কর্তৃপক্ষ রেজাল্টটা প্রকাশ করে। আগামীকাল মঙ্গলবার রেজাল্ট দেয়ার মর্মে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে অবহিত করলে তিনি বলেন, আমি তো কিছু জানি না, আমাকে কিছু জানানো হয়নি এখনও। এ সময় তিনি বলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পক্ষ থেকে যে ফলফল প্রস্তুত করা হয়েছে তিনি সেটা অনলাইন ভর্তি কমিটির কাছে দিয়েছেন।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আগেই ফল প্রকাশ হবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ওটা অফিসের ভুল হয়েছে। ওরা ভাবছে কালকেই ফল প্রকাশ করা হবে। এ সময় তিনি বলেন, আমি এখনো তদন্ত রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট না পেয়ে তো আমি ফল প্রকাশ করতে পারি না।
প্রসঙ্গত, গত বছরও ঘ ইউনিটে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে আন্দোলন করছিল। এই আন্দোলনের মধ্যে তড়ি ঘড়ি করে পরীক্ষার দুদিন পরেই কর্তৃপক্ষ ফল প্রকাশ করে।