দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্গাপূজাটি ব্যক্তি উদ্যোগে বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের সিকদার বাড়িতে এবছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
লিটন সিকদার নামে এক ব্যবসায়ী গত ৮ বছর ধরে মহাধূমধামে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছেন। প্রতি বছর সেখানে প্রতিমার সংখ্যা বেড়ছে। গত বছর ছিল ৬৫১টি প্রতিমা। এবছর এই মন্ডপে ৭০১টি প্রতিমা তৈরী করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলায় এবার ৬২২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাগেরহাটের হাকিমপুর গ্রামের সিকদার বাড়িসহ প্রতিটি মন্ডপে নতুন আঙ্গিকে প্রতিমা প্রতিমা তৈরী ও বাহারী আলোকশর্য্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার প্রতিটি পূর্জা মন্ডপে তিনস্তরের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
৯ অক্টোবর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ সূচনা হলেও মূল দুর্গাপূজাটি আজ সোমবার থেকে শুরু হয়ে ১৯ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এবছর দেবীদুর্গা এসেছেন ঘোড়ায় চড়ে, যাবেন দোলায় চড়ে।
বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের সিকদার বাড়ি সবচেয়ে বড় দুর্গাপূজাটি আয়োজক ব্যবসায়ী লিটন সিকদার তার বাড়িতে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্গাপূজাটি তাদের বাড়ীতে ব্যক্তি উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বলে জানান। এবারও তাদের সিকদার বাড়িতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ রামায়ণ ও মহাভারতের চারযুগের দেবদেবীর নানা কাহিনী অবলম্বনে ৭০১টি প্রতিমা তৈরী করা হয়েছে। গত পাঁচ মাস ধরে ১৫ জন কারিগর তাদের নিপূণ হাতে প্রতিমা তৈরীর কাজ করেছেন।
বাগেরহাট দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্গাপূজাটির পাশাপাশি এবছর সদর উপজেলার কাড়াপাড়া গ্রামের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সার্বজনীন পূজা মন্দির, চুলকাঠি বাজারের বণিকপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির, পোলঘাট সার্বজনীন পূজা মন্দির এবং ফকিরহাটের বেতাগা ইউনিয়নের বেতাগা মমতলা সার্বজনীন পূজা মন্ডগুলোতে কয়েক শত প্রতিমা দিয়ে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের সিকদার বাড়িতে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্গাপূজাটি হচ্ছে। বাগেরহাট জেলায় ৬২২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। জেলার শারদীয় দুর্গাৎসবের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনস্তরের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।