২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:২১

খাশোগিকে হত্যা প্রমাণে রয়েছে অডিও-ভিডিও

সৌদি আরব সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত খ্যাতিমান সাংবাদিক জামাল খাশোগি ইস্তানবুলে সৌদি দূতাবাসে প্রবেশের পর তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে প্রমাণে অডিও-ভিডিও রেকর্ডিং রয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার দেশ দুটির কর্তৃপক্ষ ওয়াশিংটন পোস্টকে এ কথা জানায়।
ওয়াশিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিডিওতে দেখা যায় গত ২ অক্টোবর খাশোগি দূতাবাসে প্রবেশের পর একটি সৌদি গুপ্তহত্যাকারীর দল তাকে আটক করে। তারপর তাকে হত্যা করা হয় এবং তার দেহ টুকরো টুকরো করে সরিয়ে ফেলা হয়। অডিওটি খুব ভয়ঙ্কর ছিল বলেও জানানো হয়।

তুরস্ক কর্তৃপক্ষের একজন নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘খাশোগি প্রবেশের পর তার সঙ্গে কি হয়েছিল, তা দূতাবাসের ভিতর থেকে ভয়েস রেকর্ডিং করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন ‘তুমি তার ভয়েস শুনতে পারো এবং লোকগুলো আরবিতে কথা বলছিল। তুমি শুনতে পারো কিভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, নির্যাতন করা হয়েছিল এবং তারপর হত্যা করা হয়েছিল।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যক্তি রেকর্ডিংয়ে খাশোগিকে নির্যাতন শুনতে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আল-জাজিরাকে। তবে এটি এখনও পরিস্কার নয়, দূতাবাসের ভিতর থেকে খাশোগিকে নির্যাতন ও হত্যার বিষয়টি কীভাবে রেকর্ডিং করেছে তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্র।
তুর্কি পুলিশের দাবি, সন্দেহভাজন ১৫ সৌদি নাগরিক দূতাবাসের আশপাশেই ছিল। খাশোগি প্রবেশের পরেই তাদের শিকারে পরিণত হন। ওই ১৫ জনের সঙ্গে একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ছিলেন, ধারণা করা হচ্ছে লাশ গায়েবের কাজটি তার নির্দেশেই হয়েছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত খাশোগি দূতাবাসে গিয়েছিলেন তার বিবাহবিচ্ছেদের জন্য। তুর্কি এক নারীকে বিয়ে করার কথা ছিল পরদিনই। ওই হবু বউকে দূতাবাসের বাইরে রেখে ভেতরে যান খাশোগি। মার্কিন সংবাদমাধ্যমে জনপ্রিয় কলাম লেখক খাশোগি। তিনি সৌদি বাদশাহ সালমান ও তার ছেলে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংস্কার কার্যক্রমের কট্টর সমালোচক ছিলেন।

প্রকাশ :অক্টোবর ১২, ২০১৮ ৪:২৯ অপরাহ্ণ