২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:২৩

চবি বিএনসিসি নৌ শাখার রজতজয়ন্তী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি নৌ শাখার রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নৌ শাখার রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বর্তমান ক্যাডেটদের সঙ্গে মিলিত হয়েছিল সাবেকরা।

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয় দিনভর এ আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হওয়া এ শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্ত্বর ঘুরে আইন অনুষদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সকাল থেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আনন্দ উৎসবে মিলেছিল সাবেক-বর্তমান ক্যাডেট সকলেই। শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

উপাচার্য বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিৎ। মেধা, মনন আর শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে বিএনসিসির বিকল্প নেই।

বিএনসিসি নৌ শাখার আন্ডার অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার, চবি বিএনসিসির সমন্বয় কর্মকর্তা লে. কর্নেল অধ্যাপক ড. এম শফিকুল আলম, চবি বিএনসিসির নৌ শাখার প্রাক্তন ক্যাডেটদের সংগঠন এ্যংকর সিইউ-এর সভাপতি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সম্পাদক ও ‘এ্যংকর সিইউ’-এর সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চাকমা।

চবি বিএনসিসির নৌ শাখার ক্যাডেট মাহবুব এ রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ক্যাডেটদের সম্মাননা দেয়া হয়। রজতজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে ‘নোঙর’ নামে একটি সাময়িকী প্রকাশিত হয়।

১৯৯৩ সালে চবি বিএনসিসি’র নৌ শাখা যাত্রা শুরু করে। দেশে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে বিএনসিসি। তাই সেনা, নৌ ও বিমান তিনটি ভিন্ন উইংয়ের মাধ্যমে ক্যাডেটদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে সেনা উইংয়ের অধীনে পাঁচটি রেজিমেন্ট, নৌ-উইংয়ের অধীনে তিনটি ফ্লোটিলা এবং এয়ার উইংয়ের অধীনে তিনটি এয়ার স্কোয়াড্রন কাজ করছে সারাদেশে। দেশের ৫২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্লাটুন আছে মোট ৬৫১টি।

প্রকাশ :অক্টোবর ১১, ২০১৮ ৩:২৮ অপরাহ্ণ