২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:৪৩

দায়িত্ব গ্রহণ শিক্ষকদের, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চায় ছাত্রলীগ

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ ছত্রলীগ নেতার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার ও বিশ্বদ্যিালয়ের অর্ডিন্যান্স বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি জানান। এসময় দাবি মানা না হলে সকল পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব তালুকদার। এ সময় সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, সহসভাপতি পান্না দাস ও ইমরান মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জাবির ইকবাল ও ইয়াসিন আরাফাতসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও তাদের লাঞ্ছিত করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল শিক্ষক প্রশাসনিক ও একাডেমিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তারা তাদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. পিনাকি দে বলেন, আমাদের দাবি ছিল অভিযুক্ত ও দোষী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি আংশিক মেনে নেয়ায় আমরা পদত্যাপত্র প্রত্যাহার করে যার যার দায়িত্বে যোগদান করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গত সোমবার ঢাকার শ্যামলীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিয়াজো অফিসে রিজেন্ট বোর্ডের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় রিজেন্ট বোর্ডের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, সভায় দোষী পাঁচ ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয় এবং কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবেনা এই মর্মে সাত কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।

এছাড়াও শিক্ষার্থীরা যে অর্ডিন্যান্স বাতিলের দাবি জানিয়েছে তার প্রেক্ষিতে অধ্যাপক ড. সাইদুল হক চৌধুরীকে প্রধান করে একটি অর্ডিন্যান্স সংশোধন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ছাত্রলীগ সভাপতি সজিব তালুকদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সের কারণে বহু শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল হয়েছে। সার্টিফিকেট না নিয়েই অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চল গেছে। তাই এই অর্ডিন্যান্স বাতিল না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

জানা গেছে , বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্য করে এক অকৃতকার্য ছাত্রী কোয়ান্টাম মেকানিক্স-১ পরীক্ষায় অংশ নেন। এ বিষয়ে বাধা দিতে গেলে ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব তালুকদার ওই বিভাগের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও বিভাগের শিক্ষক ড. মহিউদ্দিন তাসনিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও লাঞ্চিত করেন। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতারা ওই ছাত্রীকে পাহারা দিয়ে সস্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ করান।

এছাড়াও ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস পদ্ধতি, পরীক্ষা পদ্ধতি, ফলাফল পদ্ধতিসহ সকল অর্ডিন্যান্স পরিবর্তনের দাবীতে ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশ করেন।

এদিকে এ ঘটনার পর শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জরুরি সভা ডাকে শিক্ষক সমিতি। সভায় ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব তালুকদার, সহ-সভাপতি ইমরান মিয়া, সহ-সভাপতি আদ্রিতা পান্নার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাবির ইকবাল ও রাজিব মোল্লাকে বহিস্কার দাবি করা হয়। তাদের বহিস্কারের দাবিতে ৪৮জন শিক্ষক পদত্যাগ পত্র জমা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে।

প্রকাশ :অক্টোবর ৯, ২০১৮ ৫:৩৯ অপরাহ্ণ