২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভয়াবহ সুনামির স্মৃতি আজও অনেকের মনেই টাটকা। চৌদ্দ বছর আগেকার প্রায় ১৪টি রাষ্ট্রে হানা দিয়েছিল সেই সুনামি। নিহত হয়েছিল প্রায় ২ লাখ ৩০ মানুষ। ভয়ঙ্কর ওই সুনামির কবলে পড়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতাও। সেসময় থাইল্যান্ডের ফুকেট দ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যজোড়ে সেদিন সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরেন।
গত শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতার গ্র্যান্ড হোটেলে ‘ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ইস্ট ২০১৮’ অনুষ্ঠানে ‘কভি আলবিদা না কহেনা:ব্যাক টু দ্য ফিউচার’ শীর্ষক আলোচনাচক্রে উপস্থিত থেকে সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানান।
প্রীতি বলেন, ‘সুনামিতে আমি প্রায় মারাই যাচ্ছিলাম। আমি তখন ফুকেট’এ ছিলাম। আমার কাছের বন্ধুদের প্রায় অনেকেই সেদিন মারা যায়। একমাত্র আমি ভাগ্যজোরে বেঁচে গিয়েছিলাম। ঈশ্বর যেন তাদের আত্মার মঙ্গল করে। ওটা আমার কাছে খুব কঠিন সময় ছিল।’
সেদিনকার সেই ভয়াবহ ঘটনা প্রীতির জীবনে এক অদ্ভুত মোড় এনে দেয়। তিনি জানান, ‘আমি ভাবতে শুরু করলাম যে আমি কেন বেঁচে গেলাম? তাই আমি ভাবলাম আমার সেটাই করা উচিত যেটা আমি আমার জীবন দিয়ে করতে চাই। ওই ঘটনা পরই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)-এ যোগদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন এই বলিউডি অভিনেত্রী।
তিনি জানান, ‘ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ডস-এ আমি ললিত মোদির সাথে দেখা করি। আমি তার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলাম এবং তাঁর পরিবারও এর সাথে যুক্ত ছিল। পরে আমরা একসাথে বসে কফি খাই এবং আমি তাঁকে (ললিত) বলেছিলাম যে একটা স্পোর্টস স্কুল করতে চাই। এটা আমার বাবা ও আমার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু আমার কোন ধারণা ছিল না যে এর জন্য প্রায় এক হাজার কোটি রুপি লাগবে।’
প্রীতি আরও জানান, ‘যখন আইপিএল-এর জন্য নিলাম শুরু হল, ললিত মোদি আমাকে ডাকলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন যে ‘আপনি কেন এখানেপ্রীতি যুক্ত হচ্ছেন না?’ প্রত্যেকেই তখন নিষেধ করেছিলেন কিন্তু আমি সজাগ ছিলাম। আমি ভেবেছিলাম, আমি কি এটা করতে পারি? হ্যাঁ, আমি পারি।’