২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:১৮

সাগরে ভাসমান বস্তায় মিলল ৮ লাখ ইয়াবা

কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন সাগরে ভাসমান পাচঁটি বস্তার ভেতর থেকে ৮ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ ও বিজিবি।

এর মধ্যে পুলিশ চার বস্তায় ৬ লাখ ও বিজিবি এক বস্তায় ২ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে। তবে ওই দু’অভিযানে কেউ আটক হয়নি। পুলিশ ও বিজিবির দাবি, সাগরে ইয়াবার বস্তা ফেলে পাচারকারীরা পালিয়েছে।

রোববার সকালে টেকনাফের বাহারছড়ার ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়ার সংলগ্ন সাগরে এসব অভিযান চালানো হয়।

সকাল ১১টার দিকে টেকনাফ মডেল থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, সাগর পথে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান এনে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ দিয়ে খালাস করা হবে- এমন খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া ও ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সাগর থেকে পলিথিনের ৪টি বস্তা উদ্ধার করা হয়। সেসব বস্তার ভেতরে ৬ লাখ পিস ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। তবে পাচারকারীরা ইয়াবার বাস্তা ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।

তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইয়াবার প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া নোয়াখালীপাড়ার মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন সাগরে ভাসমান অবস্থায় একটি বস্তা উদ্ধার করে বিজিবি। পরে বস্তার ভেতর থেকে ২ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করাহয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আছাদুদ-জামান চৌধুরী। তিনি জানান, সাগরপথে ইয়াবার চালান এনে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে পাচার হচ্ছে- এমন খবর পেয়ে শনিবার রাত থেকে বিজিবির তিনটি টহলদল নোয়াখালীপাড়া নৌকার ঘাটসহ আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করে। পরে রোববার ভোরে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সাগর থেকে একটি বস্তা ভাসতে দেখা যায়। পরে বস্তাটি উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। বস্তা থেকে ২ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় কাউকে পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, পাচারকারীরা সাগরপথে ট্রলারযোগে ইয়াবাগুলো আনছিল মেরিনড্রাইভ সড়ক দিয়ে খালাসের জন্য। কিন্তু বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবার বস্তা ফেলে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। একারণে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, ইয়াবাগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে সেগুলো ধ্বংস করা হবে।

প্রকাশ :অক্টোবর ৭, ২০১৮ ৩:৪৭ অপরাহ্ণ