আদালত প্রতিবেদক:
বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা কুমিল্লার এক মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী। এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। এরপর মঙ্গলবার তার পক্ষে এই জামিন আবেদন করা হলো।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, খালেদা জিয়ার কারাবাসকে দীর্ঘায়িত করতে নিম্ন আদালত সার্টিফায়েড কপি দিচ্ছে না। নিয়মানুযায়ী আবেদনের পরদিন কপি দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও নিম্ন আদালত থেকে কপি পাইনি। বিষয়টি হাইকোর্টকে জানিয়ে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নিম্ন আদালত কার ইশারায় কার ইঙ্গিতে সার্টিফায়েড কপি দিতে বিলম্ব করছে, এটা আপনারা বিবেচনা করবেন।
২০ দলীয় জোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে দগ্ধ হয়ে আট যাত্রী মারা যান, আহত হন ২০ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও নাশকতার পৃথক দুটি মামলা করে। এতে খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক (নিম্ন) আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ওইদিন থেকেই তিনি সেখানেই আছেন।