নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করলে চাঁদা আদায়কারীর দুই থেকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে। এমন বিধান রেখে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০১৭ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয় হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধের জন্য শাস্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আগে শাস্তি ছিল ২ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। এখন কমপক্ষে ২ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সচিব আরো বলেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা, যানবাহনের ক্ষতি সাধন করা, সরকারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজকত সৃষ্টি, দরপত্র ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ গুরুতর অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিচারের জন্য এই আইনটি করা হয়েছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, অপরাধ প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে। এ আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যায়।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর