তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:
গ্রাহক স্বার্থে মোবাইল নম্বর পোর্টাবিলিটি (এসএনপি) অপারেশনাল ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু করেছে বিটিআরসি।
সোমবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ সেবার পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক।
তিনি বলেন, সেবা চালুর প্রথম দিন বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১৭ জন তাদের অপারেটর পরিবর্তন করেছেন। এ সেবা নিতে গ্রাহককে ৫০ টাকা চার্জের সঙ্গে সিম রিপ্লেসমেন্ট ট্যাক্স এবং ভ্যাটসহ ১৫৮ টাকা খরচ দিতে হচ্ছে।
পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক সেবা বলা হলেও আসলে গ্রাহকরা এখন থেকেই পুরোদমে এমএনপি সেবা পাবেন বলে জানান তিনি।
গত নভেম্বরে এমএনপি সেবার লাইসেন্স পায় বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক। আগস্টে এ সেবা শুরুর কথা থাকলেও নির্দেশনা ও নেটওয়ার্ক জটিলতার কারণে তা আজ থেকে শুরু হয়।
ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক জানায়, যেহেতু গ্রাহকের অপারেটর বদল হচ্ছে এবং তার তথ্য নতুন একটি অপারেটরে যাচ্ছে। তাই গ্রাহককে এমএনপির জন্য নতুন সিম তুলতে হবে। গ্রাহক যে অপারেটরে যেতে চান, তাদের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে গিয়ে ফি দিয়ে সিম তুলতে হবে। সিম পেতে একজন গ্রাহকের সর্বোচ্চ ৫ মিনিট সময় লাগবে এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা সক্রিয় হবে।
এ সেবার নিয়মানুযায়ী, পুনরায় অপারেটর পরিবর্তন করতে হলে গ্রাহককে ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে।
মোবাইল নম্বর পোর্টোবিলিটি বা এমএনপি সেবা বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য একটি বড় পরিবর্তন এবং এর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আরেকটি ধাপ অতিক্রম করল বাংলাদেশ।
এমএনপি চালু হলে এক অপারেটরের নম্বরে অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার যাবে। গ্রাহক যে অপারেটরের সেবা পছন্দ করবে, বিনাদ্বিধায় সেই অপারেটরে বদল করতে পারবে। এ জন্য নিজের ফোন নম্বরটিও পাল্টাতে হবে না। এ সেবা প্রবর্তনের ফলে মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে গুণগত সেবা প্রদানের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এমএনপি সেবার লাইসেন্সধারী কোম্পানি ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাবরুর হোসেন, প্রতিষ্ঠানটির সিইও মোহাম্মদ জুলফিকারসহ বিটিআরসির ঊর্ধবতন কর্মকর্তারা।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৭২ দেশে এ সেবাটি চালু রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ২০১১ সালে এবং পাকিস্তানে ওই সেবা ২০০৭ সাল থেকে চালু রয়েছে।