নিজস্ব প্রতিবেদক:
শর্ত সাপেক্ষে রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। শনিবার দুপুরে (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে লিখিত অনুমতি দেয়া হয়।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল দেখা করে। এতে নেতৃত্ব দেন দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। অন্যজন হলেন- সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ।
এ্যানি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামীকাল জনসভার অনুমতি পেয়েছি। বেলা ১২টায় আমাদের জনসভা শুরু হবে।
আজাদ বলেন, ২২ শর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার লিখিত অনুমতি পেয়েছি।
ডিএমপির শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে— সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী, রাষ্ট্র ও জননিরাপত্তা পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপ পরিচালনা করা যাবে না, উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য এবং প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে— এমন কোনো ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান ও প্রচার করা যাবে না, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে আইডি কার্ডসহ নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়োগ করতে হবে, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে স্থাপন করতে হবে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলে আসা প্রতিটি যানবাহন তল্লাশি করতে হবে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে, অনুমোদিত স্থানের বাইরে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না, অনুমোদিত স্থানের বাইরে সড়ক ও ফুটপাতে প্রজেকশন ব্যবহার করা যাবে না, অনুমোদিত স্থানের বাইরে সড়কে অথবা ফুটপাতে সমবেত হওয়া যাবে না, আজান, নামাজ এবং ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক চালু রাখা যাবে না, জনসভার মঞ্চ অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না, জনসভার ২ ঘণ্টা আগে মানুষ জনসভাস্থলে আসতে পারবে, বিকেল ৫টার মধ্যে জনসভা শেষ করতে হবে, মিছিলসহকারে জনসভায় আসা যাবে না, ব্যানার-ফেস্টুনের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠি, সোটা, রড আনা যাবে না, শর্ত না মানলে তাৎক্ষণিকভাবে অনুমতি বাতিল বলে গণ্য হবে, জনস্বার্থে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই কর্তৃপক্ষ এ অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার জনসভার তারিখ পরিবর্তন করে বিএনপি। শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির সমাবেশ করার কথা থাকলেও সেটি রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) করতে চেয়ে লিখিত আবেদন করা হয়।
গত সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার ঘোষণা দেন। পরদিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে রিজভী জানান, ২৭ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ২৯ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।