নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীতে শনিবার সমাবেশের অনুমতি পায়নি বিএনপি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন কোরেশি বৃহস্পতিবার বিকেলে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতির আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সার্বিক বিবেচনায় ওইদিন সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
শাহাবুদ্দিন কোরেশি বলেন, একটি সমাবেশের অনুমতি দিতে হলে পারপার্শ্বিক অনেক কিছু বিবেচনায় নিতে হয়।
ডিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার বলেন, বিএনপিকে শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টটিউশনে কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়েছিল; তবে তা না করে তারা রোববার কর্মসূচি পালনের জন্য অনুমতির আবেদন করেছে। সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে দুপুরে সমাবেশের অনুমতি নিতে ডিএমপিতে যায় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে বের হয়ে দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, আমরা ডিএমপিতে গিয়েছিলাম অনুমতির জন্য। শনিবার না হলে রোববার আমরা সমাবেশ করতে চাই। তবে কর্তৃপক্ষ এখনও কিছু জানায়নি।
রাজধানীতে জনসভা করার জন্য প্রথমে বৃহস্পতিবার দিন ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। এদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে কর্মসূচি পালনের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিকে চিঠিও দেয় দলটি। তবে সর্বশেষ মঙ্গলবার জনসভার নতুন তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ধার্য করেন বিএনপি নেতারা।
কেন সোহওয়ার্দী উদ্যান বা পল্টনে বিএনপির জনসভা করার অনুমতি মিলছে না- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, চলতি মাসের ১ তারিখে বিএনপিকে পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তখন ওই সড়কে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। এ কারণে সেখানে আপাতত সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
এক মাসের মধ্যে বিএনপি কী কারণে রাজপথে আরেকটি সমাবেশ করতে চায়, সেটার যৌক্তিকতা নিয়ে সন্দিহান নীতিনির্ধারকরা।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চেয়েছিল। সেখানে তাদের অনুমতি না দিয়ে মহানগর নাট্যমঞ্চে ২৯ সেপ্টেম্বর সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। একই দিন চাইলে বিএনপি ঘরোয়া পরিবেশে সমাবেশ করতে পারবে বলে ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে।
দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা জানান, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে রাজপথে জ্বালাও-পোড়াও এবং নৈরাজ্য বন্ধে কঠোর নজর রাখা হবে। যারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে, তাদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।