অপরাধ ডেস্ক:
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ দুই লাখ বিদেশি সিগারেট ও ওষুধ আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা দল। আজ শনিবার ভোরে দিকে এসব সিগারেট ও ওষুধ আটক করা হয়।
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, শারজাহ থেকে ছেড়ে আসা G9 513 ফ্লাইটটি শনিবার ভোর ৪.০০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় গোপন সংবাদে শুল্ক গোয়েন্দারা জানতে পারে যে উক্ত ফ্লাইটে বিপুল পরিমাণ সিগারেট ও ওষুধ আসবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দারা ব্যাগেজ বেল্টসহ গ্রিন চ্যানেলে বিশেষ নজরদারি বজায় রাখে।
পরে শারজাহ ফ্লাইটের জন্য নির্ধারিত ৬নং ব্যাগেজ বেল্ট হতে ব্যাগ সংগ্রহ করে সাদা পাঞ্জাবি পায়জামা পরিহিত ছয়জন যাত্রী গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বের না হয়ে হাজীদের বের হওয়ার জন্য নির্ধারিত গেটের দিকে দ্রুত রওয়ানা দেয়। এ সময় শুল্ক গোয়েন্দা দল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। এর পর তাদের সঙ্গে থাকা লাগেজগুলো স্ক্যান করে বিপুল পরিমাণ সিগারেট ও ওষুধ পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে কাস্টমস হলে ভোর ৫টায় বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে লাগেজগুলো খুলে মোট এক হাজার কার্টনে দুই লাখ শলাকা আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেট, ২৫ হাজার ৫৩৯ পিস ওষুধ, রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ও থ্রিপিস আটক করা হয়।
আটককৃত সিগারেটগুলোর মধ্যে ছিল- বেনসন ৪৫৫ কার্টন, ইজি ৪৬০ কার্টন ও ডানহিল ৮৫ কার্টন।
ওষুধগুলো হচ্ছে- Kenalog cream- 460 pcs, Allergan Drop- 100 pcs, Kenacomb cream- 180 pcs, Octanate injection – 60 pcs, Rowatinex tablet- 5000 pcs, Rital- 6000 pcs, Eyclogest- 750 pcs, Xanax- 5800 pcs, Aqua AD- 66 pcs, Ventoline- 50 pcs, Plavix- 2688 pcs, Searle- 1000 pcs, Stilnox- 1000 pcs, Kenacort- 385 pcs, Cavinton- 2000 pcs. এ ছাড়া রঙ ফর্সাকারী ক্রিম রয়েছে ৮ কেজি।
সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে বাংলায় ধূমপানবিরোধী সতর্কীকরণ লেখা ব্যতীত বিদেশি সিগারেট আমদানি করা যায় না। সিগারেটের ওপর উচ্চ শুল্ক (প্রায় ৪৫০%) পরিহারের জন্যই এসব সিগারেট আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পণ্যের শুল্ককরসহ আটক পণ্যের মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। আটককৃত পণ্যের বিষয়ে শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান গোয়েন্দা সূত্র।