ক্রীড়া ডেস্ক:
এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম খেলায় জয় দিয়ে শুরু করেছে সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ক্রিকেট দল। রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ১১৬ রান সংগ্রহ করে হংকং। টার্গেট তাড়া করতে নির্ধারিত ওভারের ১৫৮ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
প্রতিপক্ষকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তান নিশ্চিত করল সুপার ফোরে খেলা। ভারতের বিপক্ষে খেলার আগে মানসিকভাবেও সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে সরফরাজ বাহিনী। হংকংয়ের দেয়া ১১৭ রানের টার্গেটে ২ উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় পাকিস্তান। অপরাজিত অর্ধ শতকে দলের জয় নিশ্চিত করেন ইমাম উল হক।
কিছুটা ধীরে শুরু করলেও ভালো খেলছিলেন দুই ওপেনার। দলীয় ৪১ রানে ২৪ রান করা ফখর জামানকে ফিরিয়ে দেন এহসান খান। এরপর ইমাম উল হকের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে দ্রুত জয়ের পথে নিতে থাকেন বাবর আজম। এরপর আবারও আঘাত হানেন এহসান খান। দলীয় ৯৩ রানে ৩৬ বলে ৩৩ করা বাবর আজমকে ফিরিয়েছেন এই অফস্পিনার। এরপর ইমাম উল হকের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রানও আসে ইমাম উল হকের ব্যাট থেকে। অপর প্রান্তে ১১ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন শোয়েব মালিক।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় হংকং। পাকিস্তানের দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণভাগের কাছে তারা দাঁড়াতে পারবে না-এমনটা অনুমিতই ছিল। মাঠে সেটাই অনুবাদ করে দেখিয়েছেন সরফরাজ বাহিনীরা। ফলে ১১৬ রানেই গুটিয়ে গেছে হংকং এর ইনিংস। সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস এসেছে আইজাজ খানের ব্যাট থেকে। ১৯ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন উসমান খান। এছাড়া শাদাব ও হাসান আলি নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট।
বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং আক্রমণে শুরু থেকেই চাপের মুখে ছিল হংকং। টপ অর্ডারে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দুর্বল দলটি।
শুরুতে ভালো ইঙ্গিত দিলেও দলীয় ১৭ রানের মাথায় রান আউট হন ওপেনার নিজাকাত খান। করেছেন ১১ বলে ১৩ রান। এরপরই বিপর্যয়ের শুরু। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছে হংকংয়ের। অধিনায়ক অংশুমান রাঠ ভালো শুরু করলেও ব্যক্তিগত ১৯ রানে তাকে ফিরিয়ে দেন পেসার ফাহিম আশরাফ। এরপর ক্রিস্টোফার কার্টার ফিরেছেন হাসান আলির বলে। করতে পেরেছেন মাত্র ২ রান। এরপরই শাদাব খানের স্পিন ম্যাজিকে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন বাবর হায়াত ও এহসান খান।
পরে বেশ খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আইজাজ খান ও কিঞ্চিত শাহ। দুজনের ৫৩ রানের জুটি ভাঙ্গে দলীয় ৯৭ রানে। আইজাজকে বোল্ড করেন উসমান খান। এরপর ২৬ রান করা কিঞ্চিতের পতন হলে গুটিয়ে যায় হংকংয়ের ইনিংস।