২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:৪৮

সারাক্ষণ এসিতে থাকলে নানা ক্ষতি

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

গরমের প্রখর তাপ থেকে মুক্তিতে এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহারের তুলনা নেই। অফিসে ৮-৯ ঘণ্টা টানা সেন্ট্রাল এসি’তে থাকতে থাকতে বাড়িতে ফিরে পাখার হওয়া যেন গায়েই লাগতে চায় না। তাই এখন প্রায় ঘরে ঘরেই এয়ারকন্ডিশনারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কিন্তু এই এয়ারকন্ডিশনারের ব্যবহারে শরীরে যে মারাত্মক ক্ষতি হয় তা হয়তো অনেকেই জানেন না। চলুন জেনে নিই সেগুলো-

ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
বেশি সময় এয়ারকন্ডিশনড পরিবেশে থাকলে ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। ফলে শুষ্ক ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্তের আশঙ্কাও কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা
দিনের বেশিরভাগ সময় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এয়ারকন্ডিশনার শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সংক্রমণকে বাড়িয়ে দিতে পারে।

অসুস্থতা ও অবসাদ
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বেশি সময় থাকেন, তারা মাথা ব্যথা ও অবসাদে বেশি ভোগেন। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘর ঠাণ্ডার সমস্যা, ফ্লু-এর প্রকোপ বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে।

চোখের সমস্যা
এয়ারকন্ডিশনার চোখের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। যারা চোখে লেন্স ব্যবহার করেন, তারাও সমস্যায় ভুগতে পারেন।

এ ছাড়া এয়ারকন্ডিশনার বেশ কিছু রোগের প্রকোপকে বাড়িয়ে দেয়। যেমন- ব্লাড প্রেসার, আর্থাইটিস, বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুর সমস্যা ইত্যাদি। অনেকের অ্যালার্জির সমস্যাও মারাত্নক আকার ধারণ করতে পারে।

শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থেকেও নিজেকে সুস্থ রাখার উপায়-
. এয়ারকন্ডিশনার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করতে হবে।
. ঘরের তাপমাত্রা ২১-২৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখা। খেয়াল রাখতে হবে, তাপমাত্রা যেন ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম না হয়।
. ঠাণ্ডার মৌসুমে এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহার না করাই ভালো।
. ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে লোশন ও ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
. মাঝে মধ্যে মুখ, হাত পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। প্রয়োজনে চাদর ব্যবহার করুন।

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮ ১২:৫৫ অপরাহ্ণ