ক্রীড়া ডেস্ক:
এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলংকাকে ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ‘বি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে লংকানদের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে গ্রুপে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের খেলা ছয় ম্যাচে প্রথম জয় এটি।
ম্যাচের আগে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মিরপুরের আবহ চেয়েছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক। ২৩ বছর পরে এশিয়া কাপ দিয়ে আমিরাতে ফেরা বাংলাদেশ সেই আবহ পেয়েছেও বটে। বিদেশের মাটিতে দেশি সমর্থকদের উল্লাসে মুখরিত ছিল স্টেডিয়াম। প্রবাসীদের টাইগাররাও দিতে পেরেছে উপভোগ করার মতো জয়ের ক্ষণ। ম্যাচ শেষে উৎসাহ দেওয়র জন্য মাশরাফি আমিরাতের প্রবাসি সমর্থকদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
টস জিতে এ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ। ম্যাথুসের দলের সামনে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৬২ রানের লক্ষ্য দেয় টাইগাররা। প্রবাসিদের সামনে মুশফিকুর রহিম ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রানের দুর্দান্ত এব ইনিংস খেলেন। এছাড়া মিঠুন খেলেন ৬৩ রানের সময়োপযোগী এক ইনিংস। তাদের দু’জনের ব্যাটে ভর করে ওই রান তোলে বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়ায় পেস আক্রমণের দুই ভরসা মুস্তাফিজ এবং মাশরাফির আঘাতে শুরুতে ৫০ রানের আগে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় শ্রীলংকা। লংকান ব্যাটসম্যানরা অবশ্য শুরুতেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন। মাশরাফির প্রথম ওভারেই ছক্কা মেরে শুরু করেন উপুল থারাঙ্গা।
কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে কুশল মেন্ডিসকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ দিয়ে ফেরান বাংলাদেশের বাঁ-হাতি কাটার কাস্টার মুস্তাফিজ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা শ্রীলংকা ৯৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের ক্ষণ গুনতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ১২৪ রানে থামে তাদের ইনিংস। শ্রীলংকা দলের ইনিংসও মুশিফিকের একার রানের চেয়ে ২০ রান কম।
বাংলাদেশের হয়ে এ ম্যাচে মাশরাফি এবং মুস্তাফিজ ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া মেহেদি মিরাজ ৭ ওভারে নেন ২ উইকেট। সাকিব, রুবেল এবং মোসাদ্দেক একটি করে উইকেট পান। ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রান করায় ম্যাচ সেরা হন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে।