রকমারি ডেস্ক:
আদর্শ বউ হতে চান? তাহলে চলে যান ভারতের ভোপালের বরকতুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি এবার নতুন পাঠ্যক্রম চালু করতে চলেছে। যে পাঠ্যক্রম শেখানো হবে কীভাবে আদর্শ বউ হতে পারবেন নারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নারীদের সামাজিক উন্নতির জন্যেই নাকি আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই পাঠ্যক্রম চালু হচ্ছে। ৩ মাসের এই পাঠক্রম শেষেই দেওয়া হবে আদর্শ বউ’র সার্টিফিকেটও। প্রাথমকিভাবে সমাজবিদ্যা বিভাগের অধীনে চালু হবে এই পাঠ্যক্রম। শুরু হবে ৩০ জন ছাত্রীকে নিয়ে। পরবর্তীকালে ছাত্রী সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নারীদের ‘সামাজিক উন্নতি’র লক্ষ্যেই আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন পাঠ্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিয়ের পর নতুন পরিবেশে কীভাবে মানিয়ে চলতে হয়, নতুন পরিবারে কীভাবে সকলের সঙ্গে থাকতে হয় তিন মাসের এই পাঠ্যক্রমে মূলত সেই বিষয়গুলিই শেখানো হবে নারীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভি সি গুপ্তা জানিয়েছেন, নারীদের উন্নতির উদ্দেশ্যে এই পাঠ্যক্রম খুবই ব্যতিক্রমী। তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। আর সেই দায়বদ্ধতা থেকেই এই ভাবনা আমাদের মাথায় আসে।”
এই পাঠ্যক্রমে অংশ নিলে সমাজের মহিলারা আরও শক্তিশালী হবেন বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আরও একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের কথা ভাবা হচ্ছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিসিএ বা ব্যাচেলার অব কমপিউটর এডুকেশনের পরীক্ষা হিন্দিতেও নেওয়া যায় কিনা তা ভেবে দেখছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়।
তবে বরকতুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নতুন পাঠক্রমকে যতই মেয়েদের পক্ষে বলা হোক তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না নারী আন্দোলনের কর্মীরা। তারা বলছেন, নারীদের উন্নতি তো দূরের কথা সুপরিকল্পিতভাবে তাদের মজ্জায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুরুষতান্ত্রিক চিন্তাভাবনার বীজ। আর এটাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আসল চেহারা।