নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুর্নীতি করতে নয় বরং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সরকার গঠন করে ক্ষমতায় বসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, ‘দেশ যতো এগিয়ে যাবে, যত উন্নত হবে, তত বেশি সুফল ভোগ করা যাবে। তাই এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।’
আজ শনিবার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কোথায় ছিলাম, কী অবস্থায় ছিলাম, সেটা কেউ জানেও না। এই প্রজন্ম সেসব জানে না। কিন্তু আজ আমরা বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে সারা বিশ্বে শীর্ষদের তালিকায় আছি। মাছ থেকে শুরু করে ধান-সবজি উৎপাদনে বিশ্বের কোথাও তৃতীয়, কোথাও চতুর্থ-পঞ্চম অবস্থান এখনও আমাদের। গত নয় বছরে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়ে দেশকে এ অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কোনও সরকার কোনও দেশে ১২৩ ভাগ বেতন বাড়াতে পারে কিনা আমার জানা নেই। আমরা তা করেছি। অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছি, যার সুফল বাংলাদেশ পাচ্ছে।’
এ সময় পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন নোবেল লরিয়েট পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে বহির্বিশ্বে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছেন। কানাডার আদালতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু কোনও দুর্নীতি প্রমাণ হয়নি। আমি তখন বলেছিলাম- আমি দুর্নীতি করতে বসিনি, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে বসেছি। নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম এবং আমরা তা করছি।’
এ ছাড়াও ঢাকাকে আধুনিক নগর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুরো ঢাকাজুড়ে আমরা সার্কুলার রোড করব, এই সার্কুলার রোড হবে মাটিতে নয় আকাশজুড়ে, এলিভেটেড এক্সপ্রেস হবে। ঢাকা অত্যাধুনিক শহর হিসেবে গড়ে উঠবে।’
তা ছাড়াও দেশজুড়ে টেকনিক্যাল শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন করব। এর কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।’