আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা উপকূলে হারিকেন ফ্লোরেন্স আঘাত হানলে এ পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও হাজার হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গাছাপালা উপড়ে পড়েছে। মুষলধারে বৃষ্টি ও নদীতে প্লাবন দেখা দিয়েছে। ঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়লেও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটতে সক্ষম বলে জানিয়েছে মার্কিন আবহাওয়া অধিদফতর।
ওয়েলমিংটনে একটি বাড়িতে গাছ উপড়ে পড়লে এক মা ও তার শিশু সন্তান নিহত হয়েছেন। শিশুটির বাবা আহত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পেন্ডার কাউন্টিতে এক নারী হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। ময়লা আবর্জনায় আটকা পড়লে প্যারামেডিকরা তাকে উদ্ধারে চেষ্টা করছিলেন।
লেনিওর কাউন্টিতে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ বিদ্যুৎস্পর্শে ও আরেক জন নিজের শিকারি কুকুর খুঁজতে গিয়ে ভারী বাতাসের আঘাতে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। হারিকেন ফ্লোরেন্সের আগমন উপলক্ষে ১৭ লাখ লোককে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জরুরি কর্মকর্তারা বলছেন, শুক্রবার ক্যারোলিনার চার লাখের বেশি মানুষের বিদ্যুৎ সংযোগ দুর্বল হয়ে পড়েছে।
নর্থ ক্যারোলিনার গভর্নর রয় কুপার বলেন, ঘণ্টায় ৯০ মাইল (১৫০ কিলোমিটারের) বেগে আঘাত হানলেও হ্যারিকেনটির গতি কমতে শুরু করেছে। তবে ফ্লোরেন্সে এ প্রদেশে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা আরও বেশ কিছুদিন অবস্থান করবে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনা, দক্ষিণ ক্যারোলিনা ও ভার্জিনিয়ায় এ হারিকেন আঘাত হানে। বর্তমানে হারিকেনটি গ্রীষ্মকালীন ঝড়ে পরিণত হয়েছে। তবে এখনো প্রাণ-সংহারী জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন ঘণ্টায় ৭০ মাইল বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ায় আটলান্টিক মহাসাগর থেকে এটি আঘাত হেনেছে। যে কারণে ট্রেন্ট নদীসহ পুরো প্রদেশটি বিধস্ত হয়েছে। এছাড়া সবাইকে নিরাপদ স্থানে থাকার আহ্বানে জানিয়েছেন রয় কুপার। তিনি বলেন, আমরা জানি এটি একটি প্রলংকরী ঝড় হতে যাচ্ছে। এটি একটা মহাকাব্যিক অনুপাত হতে যাচ্ছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ফ্লোরেন্সের কারণে সৃষ্ট বৃষ্টিপাতে ক্যারোলিনা উপকূলের কোনো কোনো অঞ্চলে ৪০ ইঞ্চি পর্যন্ত দাঁড়াবে পানি। এছাড়াও সমুদ্রে দমকা হাওয়া বইবে।