কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় একটি বাড়ি থেকে কোটি টাকা মূল্যের একটি তক্ষক উদ্ধার করেছে পুলিশ। তক্ষকটি রংপুর চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার রাতে উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের বড়গ্রাম গ্রামের জাহের আলীর বাড়ি থেকে ওই তক্ষকটি উদ্ধার করা হয়। তক্ষকটি দেখতে কালো সাদা লালচে রঙের, ওজন প্রায় আড়াইশ গ্রাম, লম্বায় ১০ ইঞ্চি ও লেজের দিকে ৬টি ডোরা কাটা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, রাতে রাঙামাটি থেকে জাহের আলীর বাড়িতে এক ব্যক্তি একটি তক্ষক নিয়ে আসেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই রক্ষকের মালিক মহন মারমা পালিয়ে যান।
পরে পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় তক্ষকটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এটি ভারতে পাচার করা হতো বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। একশ্রেণির পেশাদার পাচারকারী এটি কোটি টাকায় কিনে পাচার করে আসছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
রংপুর চিড়িয়াখানার কেয়ারটেকার নজরুল ইসলাম জানান, চিড়িয়াখানায় কোনো তক্ষক নেই। তাই এটি নিয়ে গিয়ে খাঁচায় বন্দি করে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
বিষয়টি রাজারহাট থানার ওসি মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, শুনেছি তক্ষক লম্বায় ১৮ ইঞ্চি ও ওজন আড়াইশ গ্রামের উপরে হলে ৩-৪ কোটি টাকা মূল্য দিয়ে পাচারকারীরা কিনে নিয়ে পাচার করে।
বৃহস্পতিবার রাজারহাট থানার মোখলেসুর রহমান রংপুর চিড়িয়াখানায় খবর দিলে চিড়িয়াখানার অ্যানিমেল কেয়ারটেকার (প্রাণী রক্ষণাবেক্ষক) নজরুল ইসলাম রাজারহাট থানায় আসেন।
সকালে রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ মো. আবুল হাসেম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোরায়শী লায়লা বীথি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহ. রাশেদুল হক প্রধান, রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোখলেসুর রহমান ও ঘড়িয়াডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার তক্ষকটিকে রংপুর চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করেন।