অর্থনীতি ডেস্ক:
আর্থিক ও টেলিযোগাযোগ খাতের কম্পানির লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ২৬ শতাংশ। একই সঙ্গে বেশির ভাগ কম্পানির শেয়ারের দামও হ্রাস পেয়েছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭১৪ কোটি আট লাখ টাকা। আর সূচক বেড়েছে প্রায় ৪ পয়েন্ট। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৬৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর সূচক কমেছিল ৯ পয়েন্ট।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, লেনদেন শুরুর পর শেয়ার কেনার চাপ থাকলেও পরবর্তী সূচক নিম্নমুখী হয়। এতে দিনের সূচক সামান্যই বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৫৪৩ পয়েন্ট। ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ২ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৩৮ পয়েন্ট ও ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ০.৫৬ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া ৩২৫ কম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩১টির, কমেছে ১৫২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২ কম্পানির শেয়ারের দাম।
আইডিএলসির বাজার পর্যবেক্ষণ বলছে, ডিএসই প্রধান সূচক বেড়েছে ০.১ শতাংশ বা ৩.৮ পয়েন্ট। আর্থিক ও টেলিকম খাতের প্রভাবে সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে ২৬ শতংশ।
গতকাল লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষে রয়েছে খুলনা পাওয়ার। কম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৮২ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাক্টিভ ফাইনের লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আর তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিএস কেবলসের লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
অপর বাজার সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আর সূচক কমেছে প্রায় ২ পয়েন্ট। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আর সূচক কমেছিল ১০ পয়েন্ট। মঙ্গলবার লেনদেন হওয়া ২৪০ কম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮২টির, দাম কমেছে ১২৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০ কম্পানির শেয়ারের দাম।