পিরোজপুর প্রতিনিধি:
আগামী সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ এ্যানি রহমানের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শহরের দামোদর সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনার পর হামলার প্রতিবাদে এ্যানি রহমানের সমর্থকরা শহরে বিক্ষোভ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন-প্রত্যাশী হিসেবে কয়েক মাস ধরে গণসংযোগ করছেন শেখ এ্যানি রহমান। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তিনি টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে পিরোজপুর যান। এ সময় কয়েক শত নেতা-কর্মী মোটরশোভাযাত্রা করে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে টুঙ্গিপাড়া থেকে পিরোজপুরে নিয়ে যান। গাড়িবহরটি রাত আটটার দিকে শহরের দামোদর সেতু পার হওয়ার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁর গাড়িবহরে হামলা করে। এ সময় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।
এ্যানি রহমানের গাড়িবহরে থাকা পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, গতকাল রাত আটটার দিকে শেখ এ্যানি রহমানের গাড়িবহর শহরে প্রবেশ করার সময় দামোদর সেতু এলাকায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। তারা এ্যানি রহমানের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করে। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে এ্যানি রহমানের স্বামী শেখ হাফিজুর রহমান তাঁর লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন এবং তাঁদের এক দেহরক্ষী শটগান দিয়ে ফাঁকা গুলি করেন। এরপর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এ্যানি রহমানের দাবি, মুখে কাপড় বাঁধা যুবকরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। তিনি আরো বলেন, দুর্বৃত্তদের হামলা থেকে আত্মরক্ষার জন্য তার স্বামী বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান টোকন নিজের লাইসেন্সকৃত পিস্তল থেকে ফাঁকা গুলি করেন।
এদিকে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির বলেন, ‘ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে বাইরে থেকে গুলির আলামত পাওয়া যায়নি। এ্যানি রহমানের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরা গুলি ছুড়েছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। বিষয়টি আরও নিবিড়ভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার পর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহল জোরদার করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহরের একাধিক ব্যক্তি বলছেন, পিরোজপুরে বিবাদমান আওয়ামী লীগের একটি পক্ষকে দাবিয়ে রাখার জন্য এটি সাজানো নাটক।