আদালত প্রতিবেদক:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় আলোকচিত্রী ও দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমের জামিন আবেদন আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংন্তান্ত এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
গত ২৮ আগস্ট এ মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে শহিদুল আলমের পক্ষে আবেদন করা হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর এই আবেদনের শুনানি করতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বিব্রত প্রকাশ করেন। এর পর নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি নতুন বেঞ্চ গঠন করেন। এই বেঞ্চ আজ শুনানি নিয়ে বিচারিক আদালতকে জামিন আবেদন নিষ্পত্তির আদেশ দেন।
শহিদুল আলমের পক্ষে আজ আদালতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। এ বিষয়ে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলায় ৬ আগস্ট ঢাকা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। ১৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন।
এর পর ১৯ আগস্ট শুনানির তারিখ এগোনোর জন্য আবেদন করা হলে তা গ্রহণ করেননি আদালত। এ অবস্থায় ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তবর্তীকালীন জামিন চাইলে ওই আদালত শুনানির জন্য তা গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় হাইকোর্টে তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। আজ আবেদনটি শুনানির পর আদালত আগামীকালের মধ্যে বিচাররিকআদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে সাতদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।এর আগের দিন রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে তুলে নেয় ডিবি। সাতদিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত।
এরই মধ্যে শহিদুল আলমের সমর্থনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, নোয়াম চমস্কি, অরুন্ধতী রায়সহ খ্যাতিমান একাধিক লেখক-বুদ্ধিজীবী বিবৃতি দেন।পেন ইন্টারন্যাশনালসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠনও তার পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে। সর্বশেষ আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা টিউলিপ সিদ্দিক। মঙ্গলবার ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য টাইমস’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।