সকালের নাশতা অনেকেই ঠিকমতো খেতে চান না। আর এ কারণে নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা গ্রাস করে। সকালের নাশতায় কিছু ভুল:
চিনিপূর্ণ খাবার খাওয়া
অনেকেই সকালের নাশতায় শতভাগ তৃপ্তি আনতে এক গ্লাস প্যাকেটজাত জুস দিয়ে ভূরিভোজ শেষ করে। চিনি শরীরের জন্য কতটা মন্দ তা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। আর প্যাকেটজাত যেকোনো খাদ্যপণ্যে পুষ্টি বলতে তেমন কিছুই নেই; কিন্তু চিনি আর ক্যালরি প্রচুর। এসব খাবার শুধু মোটা করবে আপনাকে।
ফল বা সবজির জুস
ব্লেন্ডারে ফেললেই যেকোনো ফল বা সবজি জুস হয়ে যায়। কিন্তু জুস করতে গেলে ফল-সবজির ভক্ষণযোগ্য ফাইবার পুরোপুরি নষ্ট হতে পারে। ফাইবার হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। তাই সকালে ফল জুস করে খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। সবজি রান্না করে উপভোগ করুন। ফল চিবিয়ে খান।
পর্যাপ্ত প্রোটিন না খাওয়া
আদর্শ নাশতায় যথেষ্ট প্রোটিন থাকতে হয়। অনেকেই জানে না, ওজন হ্রাসের জন্য প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য খিদে মেটায়। এই খাদ্য উপাদান ছাড়া দিন শুরু করা বোকামি। তাই সকালের নাশতায় ডিম, শিমের বিচি, সবজি এবং বাদামজাতীয় খাবার রাখা দরকার।
দেরিতে নাশতা করা
সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। আর ওঠার পর এক ঘণ্টার মধ্যে নাশতা সারতে বলেন পুষ্টিবিদরা। এতে সকাল থেকেই দেহের বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চলতে থাকে।
নাশতা না করা
যারা স্লিম হতে চায়, তাদের অনেকেই সকালের নাশতা করে না। এতে কিন্তু মোটা হওয়ার ঝুঁকি আরো বেশি। আপাতদৃষ্টিতে পদ্ধতিটা কাজের বলে মনে হবে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে কুফল বয়ে আনবে।
খাবারে ফ্যাট না থাকা
আমাদের এই খাদ্য উপাদান থেকে দূরে থাকতে বলা হয়। কিন্তু ভালো মানের মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট দেহের জন্য উপকারী। সকালের নাশতায় এই ফ্যাট যোগ করতে পারলে বিশেষ করে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকে। কাজেই পিনাট বাটার বা ডিমের কুসুম যদি খেতে পারেন, তো মন্দ নয়।
যথেষ্ট না খাওয়া
এটিও বড় ধরনের ভুল। পেট পুরে সকালের নাশতা সব সময়ই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কম খাওয়া মানে ওজন হ্রাস নয়। তাই ডিম, কলা কিংবা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবার পেট ভরেই খাবেন।