তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:
ব্যক্তিগত গ্রাহকদের ওয়াইম্যাক্স সেবা দেয়া বন্ধ করেছে কিউবি। গত ৩০ আগস্ট তারা গ্রাহকদের সেবা বন্ধ করে দেয় বলে জানিয়েছেন গ্রাহক এবং অপারেটরটির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ থেকে একেবারে গুটিয়ে না নিলেও ব্যবসা সংকুচিত করার পরিকল্পনা কিউবির অনেক দিনের। তার প্রক্রিয়ায় এখন কেবল তারা কর্পোরেট গ্রাহকদেরই সেবা দেবেন।
জুনে এসে কিউবির সব মিলে ১৬ হাজার গ্রাহক থাকলেও তার মধ্যে ১২ হাজার ছিল ব্যক্তিগত পর্যায়ের গ্রাহক। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী অপারেটর বাংলালায়নের সঙ্গে চুক্তি করেছিল কিউবি।
যাতে করে কিউবি গ্রাহকরা বাংলালায়নে গিয়ে ঠিকঠাক সেবা পান। কিন্তু ১২ হাজারের মধ্যে মাত্র হাজার দুয়েক গ্রাহক শেষ পর্যন্ত বাংলালায়নের কাছে গেছে বলে জানা যায়।
তবে গ্রাহক হস্তান্তর করতে গিয়ে কিউবি তাদের গ্রাহকদের চিঠি দিয়ে বাংলালায়নের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অনুরোধ জানায়। কিন্তু অনেক গ্রাহক বাংলালায়নেও যেতে পারেননি ওই নির্দিষ্ট এরিয়ায় বাংলালায়নের সেবা না থাকায়।
নজরুল ইসলাম খান নামে কিউবির অতি পুরনো এক গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি কল্যাণপুর দারুসসালাম রোডে থাকি, অনেকদিন থেকে কিউবির ইন্টারনেট ব্যবহার করে আসছি এমনকি সার্ভিসও ভালোই পেয়েছি কিন্তু এখন হঠাৎ করে তারা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় বিপাকে পড়তে হয়েছে।
তারা এসএমএস পাঠিয়ে বাংলালায়নে ট্রান্সফার হতে বলে অথচ বাংলালায়ন আমার এ সংযোগটি সচল করতে অপারগতা জানায়। কিউবি কর্তৃপক্ষ বলছে, ওয়াইম্যাক্স সেবা বিশ্বব্যাপী মারা গেছে।
আর সে কারণে তারা নিজেদের সেবার ধরন বদলে এলটিইতে চলে যাচ্ছে। আর সে কারণেই গ্রাহকদের তারা হস্তান্তর করছেন অপর একটি এলটিই কোম্পানির কাছে।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কিউবি এলটিই চালু করার পর নতুন করে এসব গ্রাহককে আবার তাদের সেবা নেয়ার আহ্বান জানানো হবে বলেও বলছেন দায়িত্বশীলরা।
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে নিলামের মাধ্যমে ২১৫ কোটি টাকায় ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (বিডব্লিউএ) লাইসেন্স পায় কিউবি। এর এক বছর পর সেবা চালু করে তারা।
পরে ২০১৩ সালে দেশে থ্রিজি মোবাইল সেবা চালু হওয়ার পর থেকে দেশে ওয়াইম্যাক্স একটি বড় ধাক্কা খায়। এ চ্যালেঞ্জ আর কাটিয়ে ওঠা তাদের পক্ষে কখনোই সম্ভব হয়নি।