আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কামিশলি শহরে সিরীয় সৈন্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত কুর্দি যোদ্ধাদের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কুর্দি বাহিনীগুলো।
শনিবার সিরীয় সামরিক বাহিনীর একটি বহর শহরটির কেন্দ্রস্থলে প্রবেশের পর দুপক্ষের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
কামিশলির ওই এলাকাটি তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে দাবি করেছে কুর্দিদের ওয়াইপিজি মিলিশিয়া বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত নিরাপত্তা বাহিনী।
আসায়িশ নামে ওয়াইপিজির ওই অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা আমাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করে বেসামরিকদের গ্রেফতার করে এবং (সামরিক বাহিনীর) টহল দলের সদস্যরা আমাদের বাহিনীকে লক্ষ্য হিসেবে স্থির করে।
দুপক্ষের এ সংঘর্ষে তাদের সাতজন ও সিরীয় সামরিক বাহিনীর ১১ সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কুর্দি বাহিনীগুলো।
সিরিয়ার সরকারপন্থী সূত্রগুলো দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের ওপর হামলা করে কুর্দি বাহিনীগুলো। এতে বেশ কয়েকজন সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
কামিশলি শহরের অধিকাংশ এলাকা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) নেতৃস্থানীয় শরিক কুর্দিদের ওয়াইপিজি মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও শহরটির বিমানবন্দর ও কেন্দ্রস্থলের কিছু এলাকা সরকারপন্থী বাহিনীগুলোর নিয়ন্ত্রণে আছে।
শহরটির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তুরস্ক সীমান্তের নিকটবর্তী এ শহরটিতে মাঝেমধ্যে শুরু হওয়া লড়াইয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বিঘ্নিত হচ্ছে এবং শহরটিতে সিরিয়া রাষ্ট্রের প্রভাব ধীরে ধীরে বিস্তৃত হচ্ছে।
২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কুর্দি অধ্যুষিত শহরগুলোতে ওয়াইপিজির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু এ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তাকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের চেষ্টারত সুন্নি বিদ্রোহী বাহিনীগুলোকে দমনের দিকে মনোযোগ দিয়ে এসেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।