২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৯:৩২

নারী ও পুরুষের হার্টের রোগের ৫ আলাদা বৈশিষ্ট্য

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি। নারী পুরুষ নির্বিশেষে এই সমস্যার শিকার। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিসের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে হৃদরোগ। উপমহাদেশে প্রতি বছর যে পরিমাণ মানুষ মারা যান, তাঁদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত পুরুষের সংখ্যা ২০.৩ শতাংশ, মহিলার সংখ্যা ১৬.৯ শতাংশ। তবে এখন পুরুষদের তুলনায় নারীরা হৃদরোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

অন্য একটি রিপোর্ট বলছে, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে পুরুষরাই বেশি আক্রান্ত হন। সেই সংখ্যাটা ১০০ শতাংশের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা হৃদরোগের বেশ কিছু কারণ:

পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে শারীরিক এবং গঠনগত বেশ কিছু পার্থক্য আছে। ফলে বেশকিছু রোগের লক্ষণও আলাদা হয়। হৃদরোগে নারী, পুরুষ নির্বিশেষে আক্রান্ত হন। তবে আক্রান্তের নানা ধরন থাকে।

কোলেস্টেরলের সমস্যা
কোলেস্টেরল বাড়লে আর্টারি ব্লক হয়ে যায়। সেখান থেকে হার্টে চাপ পড়ে। আর কোলেস্টেরলের সমস্যায় মেয়েরা অনেক বেশি ভোগে। তাই এই কোলেস্টেরলের সমস্যায় প্রথম থেকে সচেতন হলেই হার্টের রোগ দূরে রাখা যায়।

রক্ত চলাচলের রাস্তা সরু হলে
রক্তবাহী জালিকায় কোনো কারণে ফ্যাট বা কোলেস্টেরল জমলে রক্তচলাচলের পথ ছোট হয়ে যায়। ফলে রক্তচাপ বাড়ে। এবং এখান থেকে হার্ট অ্যার্টাকের আশঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়াও দেখা গেছে আর্টারি বা ধমনী কোনো কারণে ব্লক হয়ে গেলে তা সাধারণভাবে বোঝা যায় না। সেরকম কোনও লক্ষণ থাকে না। হঠাৎ করেই সমস্যার সৃষ্টি হয়। তখন একমাত্র পথ বাইপাস সার্জারি। এর ফলে বাকি আর্টারিগুলো রক্ষা পায়।

জীবনযাত্রায় পরিবর্তন
জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের ফলে কম বয়সীরাও হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। করোনারি আর্টারি ডিজিজ যুবদের মধ্যেই বেশি দেখা যাচ্ছে। বিশেষত, মেয়েরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বাইরের খাবার বেশি খাওয়া বা অতিরিক্ত ডায়েট মেনে চলা, স্মোকিং, কনট্রাসেপটিভ পিল ইত্যাদির অধিক ব্যবহার মেয়েদের সমস্যা ডেকে আনছে। বেশ কয়েক বছর আগেও ৫০ পেরোলে পুরুষেরা হার্টের সমস্যায় নাম লেখাতেন। এখন ২০ পেরোতে না পেরোতেই খাতা খুলে ফেলছে অনেকে।

মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস
ঘরে এবং বাইরে নারী-পুরুষ সমান ভাবে স্ট্রেসে ভোগেন। স্ট্রেস থেকেই নারীদের অক্সিটোসিনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর পুরুষদের কর্টিসোল আর এপিনেফ্রিনের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। এরসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে সুগার এবং প্রেসার। নারীরা পুরুষদের তুলনায় একটু বেশি আবেগপ্রবণ। তাই কোনও ঘটনায় সহজেই ভেঙে পড়া বা চাপ নেয়ার প্রবণতা মেয়েদের মধ্যেই বেশি। কিন্তু সমস্যা হলো মেয়েদের স্ট্রেস বা হার্টের রোগ সহজে চিহ্ণিত হয় না। বি।য়টি নিয়ে তাদের বাড়ির লোকও ততটা সচেতন নন। যতটা পুরুষদের নিয়ে সচেতন। তাই ছেলেদের মতো মেয়েদেরও নিয়মিত হার্টের পরীক্ষা নিরীক্ষা দরকার।

পুরুষদের হার্টের সমস্যা হলে যা যা লক্ষণ মূলত দেখা যায়-
বুকে চিনচিনে ব্যথা বা বেশ ব্যথা, বুকের বাঁদিক ঘেঁষে ব্যাথা, বুকে চাপ লাগা ইত্যাদি।

নারীদের হার্টের সমস্যা হলে যা যা লক্ষণ মূলত দেখা যায়-
বুকে ব্যথা সবসময় হয় না, ঘাড়ের আশেপাশে ব্যথা, যেকোনো রকম ব্যাক পেইন, স্পন্ডেলাইটিসের সমস্যা ইত্যাদি থেকে হার্টের সমস্যার সূত্রপাত।

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৮ ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ