২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:০২

ছুটির দিন পার করছেন ঘুমিয়ে? সাবধান!

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

কমবেশি সবাই অনিদ্রা ও অতি-নিদ্রার মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন। অনেকেই জানেন না, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবের কারণে যেভাবে নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হয় তেমনই হয় বেশি ঘুমালে।

ব্রিটেনের কিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইন মেডিসিন’ বিভাগের একদলের গবেষণায় বেশ কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যেমন- দিনে সাত-আট ঘণ্টার বেশি ঘুমালে শরীরে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বিশেষত, ১০-১২ ঘণ্টার বেশি ঘুমালে তা প্রাণঘাতীও হতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকদলের প্রধান চুং সিন কোক।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের উপর ৭৬টি পৃথক পর্যবেক্ষণ মাপকাঠিতে তথ্য সংগ্রহ করেছি। সেই তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, যারা দিনে ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুমায় তাদের মধ্যে অকাল মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ বেশি। এমনিকী তাদের মস্তিষ্কের ক্ষতির পাশাপাশি ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দেওয়ার প্রবণতা প্রায় বৃদ্ধি পায়। স্ট্রোকে মৃত্যুর হার ৫৬ শতাংশ ও হৃদরোগের হার ৪৯ শতাংশ বাড়ে।

‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর একটি রিপোর্টের উল্লেখ করে ‘ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইন মেডিসিন’-এর গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, অনিদ্রাজনিত কারণে হৃদরোগের সম্ভাবনা ৪৪ শতাংশ বাড়ে। শুধু ঘুমের সময় নয়, ঘুমের ধরনের উপরেও হৃদযন্ত্রের সমস্যার বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভরশীল বলে দাবি করা হয়েছে ওই গবেষণাপত্রে। ‘অস্বাভাবিক ঘুমে’র ধরন হৃদরোগের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেয়।
বেশি ঘুম থেকে শরীরে স্থূলত্বের সম্ভাবনা অত্যন্ত বেড়ে যায়। শরীরের সঞ্চালন না-হওয়ায় প্রয়োজনীয় ক্যালরি বার্ন হয় না। যা থেকে মেদবৃদ্ধি করে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে ‘টাইপ টু ডায়াবেটিস’-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির।

ঘুমের অস্বাভাবিকতার পিছনে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানসিক ও পরিবেশগত নানা কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে ওই গবেষণায়। ছোট বেলা থেকে একটি শিশু কী ভাবে বড় হচ্ছে তা ঘুম-চক্র নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন চুং এবং তার সহযোগীরা। জীবনযাত্রায় অনিয়ম, কর্মক্ষেত্রে ঘন ঘন ‘শিফট’ বদলও অস্বাভাবিক ঘুমের কারণ হতে পারে।

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৮ ৯:৩৪ অপরাহ্ণ