নিজস্ব প্রতিবেদক:
অনেক সময় প্রভাবশালীদের কারণে রাস্তায় বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
শনিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে ট্রাফিক সচেতনতামূলক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আইন কেউ মানতে চায় না, আইন প্রয়োগ করতে গেলে অনেক চাপ সহ্য করতে হয়। অনেক সময় পেছন থেকে টেনে ধরতে চায়।’
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ‘কখনও আমরা সেটা উপেক্ষা করতে পারি কখনও বা আমাদের আপস করতে হয়। পথচারী আইন মানে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও আইন মানে না। কেউ যেখানে আইন মানে না তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা কিভাবে ফিরে আসবে।’
লিফলেট বিতরণ শেষে র্যালি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিসাচ (নিরাপদ সড়ক চাই) এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সচেতনতামূলক এই লিফলেটে যেসব স্থানে হর্ন বাজান নিষিদ্ধ ও দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয় বিষয় ও নির্দেশনাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
হর্ন বাজানো যাবে না যে ৯ স্থানে
১. বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া হর্ন বাজানোর বদভ্যাস ত্যাগ করুন।
২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা ইত্যাদি এলাকায় হর্ন বাজানো যাবে না।
৩. হাসপাতাল এলাকায় হর্ন বাজানো যাবে না।
৪. মসজিদ মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা এলাকায় হর্ন বাজানো যাবে না।
৫. আবাসিক এলাকায় হর্ন বাজানো যাবে না।
৬. যেকোনো সংরক্ষিত এলাকায় (বিশেষ করে সচিবালয়) হর্ন বাজানো যাবে না।
৭. আদালত এলাকায় হর্ন বাজানো যাবে না।
৮. রাতে হর্ন বাজানো যাবে না।
৯. যেখানে হর্ন বাজানো নিষেধ আছে সেখানে হর্ন বাজানো যাবে না।
দুর্ঘটনা এড়াতে
১. উল্টো দিকে গাড়ি না চালানো।
২. যেখানে সেখানে গাড়ি পার্ক না করা।
৩. গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা না বলা।
৪. বেপরোয়াভাবে গাড়ি না চালানো।
৫. নেশাগ্রস্থ অবস্থায় গাড়ি না চালানো।
৬. যেখানে সেখানে ওভারটেকিং না করা।
৭. শারীরিক ও মানসিকভাবে অনুপযুক্ত অবস্থায় গাড়ি না চালানো।