স্বাস্থ্য ডেস্ক:
মৌমাছির হুল ফোটানো বিষ খুবই যন্ত্রণাদায়ক। তবে তাদের বিষ এবার একজিমা নিরাময় করবে। একজিমা রোগীদের জন্য এমন সুখবর নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। অ্যালার্জির প্রদাহজনিত রোগ একজিমা। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এ রোগে আক্রান্ত মানুষ রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকরা বলছেন, মৌমাছির বিষে ‘মেলিটন’ নামের একটি প্রোটিন শনাক্ত করেছেন তারা। এটি একজিমার প্রদাহ দূর করবে। ভবিষ্যতে একজিমার ক্রিমে এই উপাদান যোগ করা যেতে পারে। ল্যাবরেটরিতে ইঁদুর ও মানবকোষের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা যায়, মেলিটন শক্তিশালীভাবে একজিমা প্রতিরোধ করতে পারে। তবে মেলিটনের কার্যকারিতা নির্ভর করছে ত্বকের অবস্থার ওপর।
ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব দাইগুর বিশেষজ্ঞরা এ সফলতা দেখিয়েছেন। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন ‘ব্রিটিশ জার্নাল অব ফার্মাকোলজি’তে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষক দলের প্রধান ড. হিউন-জিন এন বলেন, মৌমাছির বিষ ও মেলিটনের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা আছে। সে হিসেবে এই উপাদান ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে। তা ছাড়া মৌমাছির বিষে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল, এমনকি অ্যান্টিক্যানসারের উপাদানও মিলেছে।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের নেলসন হানি অ্যান্ড মার্কেটিং নামের একটি কোম্পানি জানিয়েছিল, গেঁটে বাতজনিত ব্যথা নিরাময়ে প্রদাহনিরোধক হিসেবে মৌমাছির বিষ কাজ করে।
কোনো কোনো ক্লিনিকে মৌমাছির হুল ফুটিয়ে বাতের চিকিৎসা করা হয়। কোম্পানিটি মৌমাছির বিষ বাজারজাতকরণের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে অনুমোদন চেয়েছে। ব্রিটেনে একজিমায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অন্তত ৬০ লাখ। যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যা সাড়ে তিন কোটির কম নয়।