নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ‘রক্তগঙ্গা বইয়ে, সারা দেশে দলের নেতাকর্মীদের ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার করে তিনি টিকে থাকবেন মনে করেছেন। কিন্তু তা হবে না, সরকার এক বিরাট চোরাবালির মধ্যে ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘তাদের মধ্যে আতংক আছেই। এই আতংকের বহিঃপ্রকাশই হচ্ছে বিএনপির নেতকর্মীদের ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার, নির্বিচারে তারে বিরুদ্ধে মামলা, জলোচ্ছ্বাসের মতো সারাদেশে মামলায় ভাসিয়ে দেওয়া। এটি একটি দুর্বল সরকার।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘তিনি মনে করছেন, সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে, হাজার হাজার মামলা দিয়ে তিনি টিকে থাকবেন। কিন্তু তা হবে না, টিকে থাকার মাটি তার পা থেকে সরে যাচ্ছে। সরকার এক বিরাট চোরাবালির মধ্যে ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে।’
লিখিত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য দুটি। একের পর এক মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে সাজার স্তুপ বৃদ্ধি করা, আরেকটি উদ্দেশ্য দিনের পর দিন আটকে রেখে শারীরিক অসুস্থতার আরো অবনতি ঘটিয়ে বেগম জিয়াকে বিপর্যস্ত করা। গতকালও আপনারা দেখেছেন হুইল চেয়ারে করে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে। হাত-পা নড়াতে তার অসুবিধা হচ্ছিল। তিনি এতোটাই অসুস্থ ছিলেন যে, তিনি রীতিমতো কাঁপছিলেন এবং চেয়ার থেকে দাঁড়াতে পারছিলেন না। বার বার দাবি করা সত্যেও তার সু-চিকিৎসায় সরকার অবহেলা করেছে।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশের সিনিয়র নাগরিক তার প্রতি সরকারের এমন নিষ্ঠুর আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, মো: মুনির হোসেন, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন প্রমুখ।