আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ হোক্কাইডোতে শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যু এবং ৪০ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম এনএইচকের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, টাইফুন জেবির প্রভাব কাটিয়ে না উঠতেই আঘাত হানা এ ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হোক্কাইডো। এর প্রধান শহর সাপ্পোরোর দক্ষিণে অবস্থিত আৎসুমা ও আবিরা শহর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভূমিধ্বসের ঘটনাও ঘটেছে।
ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন স্থাপনা দুর্বল হয়ে পড়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের ভূমিকম্পের পর আবারও বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। বিপদজ্জনক এলাকা এড়িয়ে চলার জন্য বাসিন্দাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর কোন সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। আঞ্চলিক রাজধানী সুপ্পোরো থেকে ৬২ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
রাতভর কিছুক্ষণ পরপরই ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন হতে থাকে। এরমধ্যে একটির মাত্রা ছিল ৫.৩।
সাপ্পোরোর এক বাসিন্দা টিভি চ্যানেল এনএইচকে-কে বলেন, ‘হঠাৎ শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি প্রায় ৩০ সেকেন্ড কম্পন অনুভব করেছি। আমি সাত তলায় থাকি। এটা ছিল অত্যন্ত আতঙ্কজনক।’
সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিহিদি সুগা বলেন, ভূমিকম্পের পর অন্তত চারটি ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। এতে ছয়টি বাড়ি ধসে পড়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো এবে বলেন, উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তার জন্য ৪ হাজার সেল্ফ ডিফেন্স ফোর্সকে মোতায়েন করা হয়েছে। আরো ২৫ হাজার উদ্ধারকাজে যোগ দেবে।
মন্ত্রিপরিষদের জরুরি বৈঠকের পর আবে বলেন, ‘জীবন রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো।’