নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। প্রত্যেক এলাকার জনগণ ভোট দিয়ে তাদের মনোনীত প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে পারছে- এটাই আজ প্রমাণিত।
বুধবার নিজ কার্যালয়ে রাজশাহী ও সিলেটে নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সিলেটে বিএনপির প্রার্থী মেয়র হয়েছেন। কাউন্সিলররাও বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করবার জন্য আমরা সংগ্রাম করেছি। গণতন্ত্র মানে জনগণের ভোটের অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকারের প্রতি আমরা সম্পূর্ণভাবে নিবেদিত। আমরা চাই জনগণের অধিকার জনগণের হাতেই থাকবে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- স্লোগানটা আমারই ছিল।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা থাকলে একটা দেশ উন্নত, সম্মৃদ্ধশালী হয়। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। সরকারের ধারাবাহিকতা আছে বলেই আজকে আপনারা পরিবর্তন দেখতে পারছেন। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের রোল মডেল।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে শপথ পাঠ করান। এরপর স্থানীয় সরকারমন্ত্রী রাজশাহীর ৪০ ও সিলেটের ৩৬ জন কাউন্সিলরদের শপথ পাঠ করান।
এই সময় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। এছাড়া ২১০০ সাল পর্যন্ত ডেলটা পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যারাই ক্ষমতায় আসুক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে, বাংলাদেশ যেন এগিয়ে যায়, দেশ যেন আর কখনো পিছিয়ে না যায়- সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আমি আশা করবো যে সরকারই আসবে শুধু নিজেদেরই সম্পদশালী করবে না, জনগণ যেন সম্পদশালী হয় সেদিকে নিবেদিত থাকবে।
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা নির্বাচিত প্রতিনিধি। জনগণ আস্থা রেখে আপনাদের ভোট দিয়েছে। যে যে দলই করেন না কেন- স্ব স্ব এলাকার ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করাই হবে আপনাদের কর্তব্য।
সরকার প্রধান হিসেবে স্থানীয় সব দলের জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে যদি কোনো অনিয়ম হয়; কোনো ধরনের দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদী কাজ হয়, সে যে দলেরই হোক রেহাই পাবে না। আমরা দেশকে উন্নত করতে চাই এবং দেশের মানুষের শান্তি, উন্নয়ন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।