২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:১৫

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব-দ্বীপ পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রায় শত বর্ষব্যাপী ব-দ্বীপ পরিকল্পনা নামে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের (জেইডি) তৈরি করা এ পরিকল্পনায় বন্যা, নদী ভাঙ্গন, নদী শাসন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিস্কাশন ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সভায় এটি অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এনইসির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করার সময় এ উদ্যোগকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৈঠকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান ও জেইডির সদস্য সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

এ পরিকল্পনা নিয়ে গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গণভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ এর মাধ্যমে ১০০ বছরে বাংলাদেশ কোন পর্যায়ে যাবে সেই পরিকল্পনা চলছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ব-দ্বীপকে জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য অভিঘাত থেকে বাঁচাতে এ প্ল্যান। দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতেই ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়ন হাতে নেয়া হচ্ছে।

পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং বিদ্যমান অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিবছর জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রায় আড়াই শতাংশ অর্থের প্রয়োজন হবে।

২০৩১ সাল নাগাদ প্রতি বছর ২৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে।

নেদারল্যান্ডসের ডেল্টা ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়ন করা হয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছয়টি স্থানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো-উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওর এবং আকস্মিক বন্যা প্রবণ এলাকা, পার্বত্য অঞ্চল এবং নগর এলাকা। অঞ্চলভেদে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য এবং এর সাধারণ ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৮ ৪:৩০ অপরাহ্ণ