১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং | ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১১:৫৯

দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল লড়াই শুরু আজ

ক্রীড়া ডেস্ক:
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল অনুরাগীদের মাঠে ফুটবলের সৌরভ ছড়ায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এই অঞ্চলের ফুটবল দলগুলোকে নিয়ে দুই বছর পর পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ)। সাফের ১২তম আসরের পর্দা উঠছে আজ ঢাকায়। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিকাল ৪টায় প্রথম খেলায় মুখোমুখি হবে নেপাল ও পাকিস্তান। আর দিনের দ্বিতীয় খেলায় বাংলাদেশ খেলবে ভুটানের বিপক্ষে।

এবারের সাফ আসর নিয়ে অনেক বেশি আশাবাদী বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। অনেক আশা নিয়ে ফুটবলে নতুন পথচলা শুরু হচ্ছে। ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করছে সাফের আসের। সাত দেশ নিয়ে আয়োজিত এই লড়াইয়ে নামার আগে অতিথি দলগুলো জানিয়ে গেছে তরুণ ফুটবলারদের আধিক্য বেশি। সামগ্রিক ফুটবলে ব্যপক পরিবর্তন হয়েছে। সাফের দেশগুলো তরুণদের নিয়ে ভবিষ্যত দল গড়ার পথে হাঁটছে। সাফ সুজুকি কাপ ফুটবলের এবারের আসরে বাংলাদেশ শিরোপার জন্য মাঠে নামবে। কিন্তু দলের কোচ খেলোয়াড় সেটা মুখে প্রকাশ করেননি। তারা চায় আগে গ্রুপ পর্বের বাধা পার হতে। ভুটানকে হারিয়ে আজ সুন্দর সুচনা করতে চায়।

২০০৮ সালে বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন দায়িত্ব নেয়ার পরই দুয়ারে সাফ এসে দাঁড়িয়েছিল। সেবার রানার্সআপ হলেও পরের তিন আসরে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্ব হতে বিদায় নেয়। এমন কোনো সুযোগ সুবিধা নেই যা দেয়া হয়নি বাংলাদেশের ফুটবলারদের। তারপরও খেলোয়াড়রা দেশকে কিছু দিতে পারেননি। এবারও বাংলাদেশের ফুটবলারদের প্রশিক্ষণের জন্য বাফুফে বিদেশি কোচিং স্টাফ এনে দিয়েছে। কাতার, দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানো হয়েছে প্রশিক্ষণের জন্য। সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে সামর্থ্যের বাইরে।

বাফুফে সভাপতি গতকাল সাফের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমি আমরা আপনারা ফুটবলের জন্য সবই করেছি। এবার মাঠে খেলার দায়িত্ব ফুটবলারদের। আমরা খেলে দিতে পারব না, আপনারাও পারবেন না।’

ঢাকায় ২০০৩ সালে সাফের তৃতীয় আসরে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হলেও এই ১৫ বছরে বাংলাদেশ ছাড়া সাফ অঞ্চলের ফুটবলে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত ৭ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মালদ্বীপ ২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়। নেপাল ঢাকার মাঠে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। ৯৩ সালে সাফ গেমস ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়। কিন্তু সাফে তাদের সর্বোচ্চ অর্জন ৯৩ সালে তৃতীয় হয়েছিল। শ্রীলঙ্কা ৯৫ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়। পাকিস্তান ৯৭ সালে তৃতীয় হয়। বাংলাদেশ একবার চ্যাম্পিয়ন হলেও তিনবার ফাইনাল খেলেছে।

বাংলাদেশের সাথে ‘এ’ গ্রুপে আছে নেপাল, ভুটান এবং পাকিস্তান। ‘বি’ গ্রুপে ভারত, মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ সেমিফাইনালে উঠবে।

১৯৯৩ সালে পাকিস্তানে সার্ক গোল্ডকাপ নামে চার দল নিয়ে এই টুর্নামেন্ট শুরু তখন বাংলাদেশ সার্ক গোল্ডকাপের প্রথম আসরে অংশগ্রহণ করেনি। দুই বছর পর একই নামে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর বসে শ্রীলঙ্কায়। বাংলাদেশ অংশ নিলেও সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠেও ভারতের কাছে হেরে বিদায় নেয়।

এরপরই সার্ক গোল্ডকাপ নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) গোল্ডকাপ। নেপালে হওয়া এই আসরেও গ্রুপ পর্ব হতে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালে ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত সাফে প্রথমবার ফাইনাল উঠে ভারতের কাছে হেরেও রানার্স আপ হয়ে সন্তুষ্টু থাকতে হয়। স্বপ্ন পুরণ হয় ঢাকায় ২০০৩ সালে সাফের তৃতীয় আসরে। ফাইনালে টাইব্রেকারে মালদ্বীপকে হারিয়ে সাফে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়।

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৮ ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ