নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইভিএম নিয়ে আসার জন্য আমি সবসময় পক্ষেই ছিলাম, এখনো আছি। তবে এটাও ঠিক এটা তাড়াহুড়ো করে চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না। কারণ একটা প্র্যাকটিসের ব্যাপার আছে।
তিনি বলেন, ইলেকশনটাকে স্বচ্ছ করার জন্য যা যা করার প্রয়োজন সবই কিন্তু আমরাই করেছি। কারণ মানুষের ভোটের অধিকারটা মানুষের হাতেই থাকুক। কাজ করেছি মানুষের জন্যে, ভোট দিলে দিল না দিলে নেই, তাতে আমার কিছু আসে যায় না। এটার কারণ আছে সেটা পরে বলবো।বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী সাত দেশের জোট বিমসটেক সম্মেলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বিকাল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ভুয়া ছবি দিয়ে মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর প্রোপাগান্ডামূলক একটি বই প্রকাশের বিষয়টিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা এভাবে ভুয়া ছবি দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে জঘন্য কাজ করেছে। কিন্তু এটা তারা কার কাছ থেকে শিখল? আমাদের দেশেও তো হয়েছে। কাবা ঘরের সামনে ব্যানার ধরার ছবির মিথ্যাচারও আমরা দেখেছি। সুতরাং এসব মানুষের কাছে ধরা পড়ে যায়। মিয়ানমার সরকারও ধরা পড়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিমসটেকের মাধ্যমে আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধির জন্য আমরা একমত হয়েছি। সন্ত্রাস, চরমপন্থা দমন, সবার জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র্য দূরীকরণ এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে জোরারোপ করি।
তিনি আরও বলেন, আমরা নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বলেছি, বাংলাদেশ বিমসটেকের মতো সহযোগিতামূলক প্লাটফর্মের সঙ্গে কাজ করে যাবে।
বিমসটেক সম্মেলনে মিয়ানমারের সৃষ্ট রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি এসেছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বিমসটেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় উঠেছে রোহিঙ্গা ইস্যুটি। এছাড়া সম্মেলনের ফাঁকে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেও এ নিয়ে কথা হয়েছে।
কাঠমান্ডুতে ৪র্থ ‘বে অব বেঙ্গল ইনেসিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন’ (বিমস্টেক) সম্মেলনে যোগ দিতে গত বৃহস্পতিবার সকালে নেপাল যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুদিনের সরকারি সফর শেষে শুক্রবার দেশে ফিরে আসেন তিনি। সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।