অপরাধ ডেস্ক:
দেখতে অনেকটা চায়ের পাতার গুঁড়োর মতো। পানির সঙ্গে মিশিয়ে তরল করে এটি সেবন করা হয়। সেবনের পর এটি মানবদেহে ইয়াবার মতো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তবে ফেনসিডিল-ইয়াবার মতো সীমান্ত পথে নয়, আকাশপথে আসা শুরু হয়েছে ‘খাত’ নামক নতুন এই মাদক।
আজ শুক্রবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৬৮ কেজি ওজনের নিউ সাইকোট্রফিক সাবসটেনসেস (এনপিএস) জাতীয় ‘খাত’ নামের বিশেষ ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) গোয়েন্দারা।
আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া থেকে কয়েকটি রুটে ঘুরে চালানটি পার্সেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসে। এর গন্তব্য ছিল ভারত। অভিযান সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে অপ্রচলিত মাদক ‘খাত’ মূলত ইয়াবার কাঁচামাল এমফিটামিনের মতোই মাদকদ্রব্য। ঢাকার শান্তিনগরের নওহিন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় চালানটি আসে। ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক নিজামকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএনসি।
ইথিওপিয়া থেকে জাহিদ মোহাম্মদ ইউসুফ নামে এক ব্যক্তি চালানটি পাঠান। আর্ন্তজাতিক গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এ চালানটি আটকে সহায়তা করে।
চাইলে ডিএনসির অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা) নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের পোস্ট অফিসের কাছে থেকে কার্টনে খাত চালানটি জব্দ করা হয়। এটি পাচারের জন্য ট্রানজিট করা হচ্ছিল। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নওহিন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপককে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এটি আমাদের দেশে প্রচলিত মাদক নয়। দেশের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো এ ধরনের মাদকের চালন জব্দ করা হলো।
অভিযান সংশ্লিষ্টরা জানান, খাত চালনটি ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা হয়। এর আগেও একইভাবে মাদক পাচার হয়েছে বলেও ধারনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই চালানের সঙ্গে নওহিন এন্টারপ্রাইজের মালিকও জড়িত। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্তকারীরা বলছেন, খাত দেশে প্রচলিত নয় বলে মাদকের তালিকায় নেই। তবে এটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের অন্য মাদকের বিবেচনায় ‘খ’ ক্যাটাগরির মাদক হবে। এ চালানটি পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।