নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন রাজ্য থেকে খ্যাতনামা বামপন্থী লেখক, বুদ্ধিজীবী ও মানবাধিকার কর্মীদের আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
মঙ্গলবার দিল্লি, মুম্বাই, হায়দরাবাদ, ফরিদাবাদ, গোয়া ও রাঁচীসহ বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে। খবর বিবিসি বাংলা ও আনন্দবাজার।
পুলিশ বলেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার এক বামপন্থী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে এদের যোগসাজশ পাওয়া গেছে।
পুলিশ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে, মাওবাদীদের সমর্থক হিসেবে পরিচিত কবি ভারভারা রাওকে হায়দরাবাদ থেকে এবং শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠন পিপলস ইউনিয়ন অব সিভিল লিবার্টিজ বা পিইউসিএলের প্রধান সুধা ভরদ্বাজকে ফরিদাবাদ থেকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রাবন্ধিক ও মানবাধিকার কর্মী গৌতম নওলাখাকে দিল্লি থেকে আটক করা হয়েছে। অরুণ ফেরেরা ও ভেনন গঞ্জালভেজকে মহারাষ্ট্র্রের থানে ও মুম্বাই থেকে আটক করা হয়েছে।
রাঁচীতে সমাজকর্মী স্ট্যানের স্বামীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রচুর কাগজপত্র, ল্যাপটপ, হার্ডড্রাইভ ও সিডি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। নজিরবিহীন এই ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেছেন অরুন্ধতী রায় ও রামচন্দ্র গুহ-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁওতে প্রায় তিন লাখ দলিত মানুষ জড়ো হয়েছিলেন মারাঠা পেশোয়াদের বিরুদ্ধে তাদের বিজয়ের ২০০ বছর উদযাপন করতে। দলিতরা ভীমা কোরেগাঁওয়ের সেই যুদ্ধে ব্রিটিশদের পক্ষে লড়াই করেছিল।
দক্ষিণপন্থী কিছু সংগঠন ওই উদযাপনের বিরোধিতা করায় অশান্তি শুরু হয়, যা পরে হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। পরবর্তী তিনদিন ধরে নানা শহরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্তত একজন নিহত হন।
পুনে শহরের পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত করছিল এবং সেই সূত্রেই মঙ্গলবার দেশ জুড়ে তল্লাশী অভিযান চালানো হয়।
পুনে পুলিশ বলছে, ওই ঘটনার তদন্তের সূত্রে এর আগে কয়েকজন সমাজকর্মীকে আটক করা হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে যেসব ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে মঙ্গলবার সেসব বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।