নিজস্ব প্রতিবেদক:
সড়ক পরিবহণ উপদেষ্টা পরিষদের ৪২তম বৈঠকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজধানীতে চলাচলকারী সব বাসে রঙ করাসহ সৌন্দর্যবর্ধন এবং ১৮-দফা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আজ সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এই ১৮ দফা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র সাঈদ খোকন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান এ কমিটির সদস্য-সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। বৈঠকে জাতীয় সড়ক ও মহাসড়কে নসিমন-করিমন, ভটভটি, ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা, লেগুনা চলাচল বন্ধ এবং এসব যানবাহনে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি নিষিদ্ধ, বাসের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ, বাসের কন্ট্রাক্ট সার্ভিস বন্ধ, গাড়িতে স্টিকার, ফ্লাগ স্ট্যান্ড, মনোগ্রাম, অননুমোদিত বিকন লাইট জ্বালানো বন্ধ করাসহ ১৮ দফা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়।
সভা শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের আরো জানান, ইতোমধ্যে বিআরটিএ’তে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে যেখানে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করতেন বর্তমানে সেখানে নতুন ৮ জনসহ ১১ জন দায়িত্ব পালন করবেন। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ৬ দিন বিআরটিএ’র সার্ভিস অব্যাহত থাকবে।
মন্ত্রী নির্ধারিত বাসের ভাড়া বাসে রাখা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখন থেকে ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করে সব অনিয়ম দূর করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
এবার ঈদের ছুটিতে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার জন্য তদন্ত রিপোর্ট আগামী ১০ দিনের মধ্যে পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
পরিবহণ খাতকে শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে রাজধানীর পরিবহন সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবে বলে মন্ত্রী জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক মহাসড়কে অযান্ত্রিক যানবাহন বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাস-ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানের অবৈধ এ্যাঙ্গেল, হুক এবং বাম্পার অপসারণের কাজ চলমান রয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ যানবাহনের অপসারণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
মন্ত্রী বলেন, যেসব জেলায় আঞ্চলিক ট্রান্সপোর্ট কমিটি (আরটিসি) রয়েছে সেগুলো আরো বেশি সক্রিয় করতে নিয়মিত বৈঠক এবং যেসব জেলায় কমিটি নেই সেসব জেলায় দ্রুত আরটিসি কমিটি গঠনের জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।
রাস্তায় শৃংখলায় ফিরিয়ে আনতে ট্রাফিক বিভাগের চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান। বাসস