অপরাধ ডেস্ক:
বগুড়া শহরের বড়গোলার টিনপট্টি এলাকার একটি বাড়ি থেকে মঙ্গলবার সকালে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা হলেন- ওই এলাকার সৌদী প্রবাসী অবাঙালি (বিহারি) ইউসুফ শেখের স্ত্রী রুবি খাতুন (২৫) এবং তার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে সুমাইয়া খাতুন। পুলিশের ধারণা, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে এবং তার মাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি।
জোড়া খুনের খবর পেয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা অন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এছাড়া পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকতার হোসেনের নেতৃত্বে অপর একটি টিমও সেখানে যান।
বগুড়ায় পুলিশের মিডিয়া বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, নিহত রুবি বেগমের শাশুড়ি জুলেখা বেওয়া আমাদের জানান, তার পুত্রবধূ ও নাতনি যে ঘরে থাকেন সকালে সেটির দরজা খোলা ছিল। তিনি ঘরে ঢুকে বিছানায় দু’জনের লাশ দেখতে পান।
স্থানীয়রা জানান, টিনপট্টি এলাকার অবাঙালি মৃত মোসলেম শেখের ছেলে পেশায় গ্যারেজ মিস্ত্রী ইউসুফ শেখ দু’বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। তার অন্য ৪ ভাই পরিবার পরিজন নিয়ে একই বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে বসবাস করে। মঙ্গলবার সকালে ওই বাড়ির শেষ ঘরটিতে বিছানার ওপর মা ও মেয়ের লাশ পাওয়া যায়।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকতার হোসেন জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে মা রুবি বেগমের গলার বাম পাশে কাঁচি দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন দেখা গেছে। বিছানায় অনেক রক্ত ছিল।
হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ছায়া তদন্ত করছি। এরই মধ্যে কিছু আলামতও পেয়েছি। বাড়ির লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। হয়তো খুব তাড়াতাড়ি ক্লু উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, খুনী একাধিক নয়, একজনও হতে পার। আমরা নিবিড়ভাবে তদন্ত করছি। আশা করছি, দ্রুতই সবকিছু জানা যাবে।