সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে দুই জেলার ৬২টি গ্রামে আজ মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হচ্ছে। চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি ও মতলব উত্তরের কয়েকটি গ্রাম ছাড়াও পটুয়াখালীর ২২টি গ্রামের পাঁচ হাজার পরিবার আজ ঈদ উদ্যাপন করছে।
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর ২২টি গ্রামের পাঁচ হাজার পরিবার আজ ঈদুল আজহা উদ্যাপন করছে। গ্রামগুলোয় পশু কোরবানির পর ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এসব পরিবার ঈদ উদ্যাপন করেছে।
সকাল নয়টায় পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের বদরপুর দরবার শরিফ জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই নতুন জামাকাপড় পরে ঈদের নামাজ আদায় করেন অনেক মানুষ। বদরপুর দরবার শরিফ মসজিদের প্রধান ঈদের জামাতের ইমামতি করেছেন বদরপুর দরবার শরিফের প্রধান হাফেজ মাওলানা মহাজন লিল্লাহি। নামাজ শেষে দেশ ও জাতি এবং মুসলিম জাহানের শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
বদরপুর দরবার শরিফের পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুস সায়াদাত আখন্দ বলেন, এ বছরও জেলার সদর উপজেলার বদরপুর ও ছোট বিঘাই; গলাচিপা উপজেলার সেনের হাওলা, পশুরীবুনিয়া, নিজ হাওলা ও কানকুনিপাড়া; বাউফল উপজেলার মদনপুরা, শাপলাখালী, বগা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদী, সাবুপুরা ও আমিরাবাদ এবং কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া, নিশানবাড়িয়া, মরিচবুনিয়া, উত্তর লালুয়া, মাঝিবাড়ি, টিয়াখালীর ইটবাড়িয়া; পৌরশহরের নাইয়াপট্টি, বাদুরতলী এবং মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সাফাখালী—এই ২২ গ্রামের পাঁচ হাজারের বেশি পরিবার ঈদুল আজহা উদ্যাপন করছে।
এসব এলাকায় অনেকেই পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরিফের পীর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পীর এবং চট্টগ্রামের পটিয়ার এলাহাবাদ পীরের অনুসারী। ১৯২৮ সাল থেকে এসব এলাকায় প্রতিবছর সৌদি আরবের দিনক্ষণের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদ্যাপন করা হয়।
চাঁদপুর: সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে আজ পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হচ্ছে। সকাল নয়টায় জেলার ফরিদগঞ্জের টোরা মুন্সিরহাটের ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা রহমত উল্যাহ।
জেলার হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) ১৯৩৩ সাল থেকে এই এলাকায় এমন ধর্মীয় প্রথা চালু করেন। তারপর থেকে তাঁর অনুসারীরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে এভাবে দুটি পবিত্র ঈদ ও রোজা পালন করছেন।