নিজস্ব প্রতিবেদক:
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ হয়েছে। আজ শনিবার বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড একই দিন পৃথক ফল প্রকাশ করেছে।
পুনঃনিরীক্ষণের ফলে তিন হাজার ২৯১ জন শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছে ৭৭৮ জন এবং নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮৬ জন। বাকীদের বিভিন্ন গ্রেডে ফল পরিবর্তন হয়েছে।
বোর্ডভিত্তিক ফল, ঢাকা বোর্ডে মোট এক হাজার ৯৫৫ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল করে পাস করেছে ৫৪০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬৪ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে ৪০৯ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৮ জন। ফেল থেকে পাস করেছে ৭৩ জন। দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে ৩৬২ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছে ২৪ জন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬২ জন। সিলেট বোর্ডে ৫৫ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছে ১৭ জন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ জন। কুমিল্লা বোর্ডে ২৩৯ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছে ৬৪ জন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন।
এছাড়া বরিশাল বোর্ডে ১৮ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। যশোর বোর্ডে ১০৮ জনের জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে পাস করেছে ৪১ জন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে ফল পরিবর্তন হয়েছে ৭২ জনের। ফেল থেকে পাশ করেছে ১৯ জন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ শিক্ষার্থী।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার বলেন, ‘উত্তরপত্র মূল্যায়নে পরীক্ষকদের গাফলতি আছে কি না? প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে হচ্ছে কেন? এসব খতিয়ে দেখবে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। কারো দায়িত্বহীনার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তবে মডেল পদ্ধতিতে খাতা দেখায় ভুলের পরিমাণ পর্যয়ক্রমে কমে আসছে বলেও জানান এই বোর্ড কর্মকর্তা।